মানিকন্ট্রোল রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, RBI-এর তথ্য অনুসারে, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অংশ, সোনার রিজার্ভ ৩ জানুয়ারি ৬৭.০৯২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৩ জুন ৮৩.৩১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এখন সোনার রিজার্ভ ভারতের মোট বিদেশি সম্পদের ১২ শতাংশেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে নতুন আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সোনার রিজার্ভ ১৫.২৬০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ₹১.৬৬ লাখ কোটি টাকা) বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সোনার দাম কি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে? এবার কি তাহলে দাম কমার পালা ? জেনে নিন
বিনিয়োগকারীরা কেন সোনার দিকে যাচ্ছেন –
বছরের শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা বেড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন শুল্ক, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা এবং ইরান ইজরায়েল সংঘাত। এখন যুদ্ধবিরতি হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এতে যোগ দিয়েছিল। এই ঘটনাগুলি ডলার সূচক, অপরিশোধিত তেলের দাম এবং ভারতীয় রুপির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই সঙ্কটগুলি বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলে তারা সোনা বা সোনার রিজার্ভের মতো নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝুঁকছে।
আরও পড়ুন: PM Kisan: কোটি কোটি কৃষকদের জন্য বড় খবর ! কবে মিলবে ২০তম কিস্তির টাকা ? জেনে নিন
আরবিআই-এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে আরবিআই-এর কাছে মোট সোনা ছিল ৮৭৯.৫৮ মেট্রিক টন, যেখানে ৩১ মার্চ, ২০২৪ তারিখে তা ছিল ৮২২.১০ মেট্রিক টন, অর্থাৎ এক বছরে ৫৭.৪৮ মেট্রিক টন বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২৫ সালের জরিপ ইঙ্গিত দেয় যে, অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির সোনার চাহিদা এখনও শক্তিশালী রয়েছে।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে প্রচুর পরিমাণে সোনা জমা করে। এই রিজার্ভ আর্থিক নিরাপত্তা হিসাবে কাজ করে, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে নিরাপত্তা এবং আস্থা প্রদান করে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এবং মুদ্রার ওঠানামা থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য সোনার রিজার্ভ সব দেশেরই একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।