১০ গ্রাম গয়নার দামের নিরিখে আগে হিসেব দেখা যাক! গয়না কেনার সময় কেবল সোনার দামই দিতে হয় না, বরং মেকিং চার্জ এবং জিএসটিও দিতে হবে।
এবার ধরা যাক, সোনার দাম প্রতি গ্রামে ১১,০০০ টাকা যাচ্ছে।
কেউ ১০ গ্রামের একটা চেন কিনলেন।
সোনার দাম- ১,১০,০০০ টাকা
এর উপর ১৫% মেকিং চার্জ- ১৬,৫০০ টাকা
advertisement
সঙ্গে জিএসটি ৩%- ৩,৭৯৫ টাকা
মোট মূল্য- ১,৩০,২৯৫ টাকা
অর্থাৎ ১০ গ্রামের গয়না কিনতে গেলে সোনার তুলনায় প্রায় ২০,২৯৫ টাকা বেশি দিতে হবে।
১০ গ্রামের কয়েনে তাহলে সাশ্রয় কোথায় হবে?
সোনার কয়েন সাধারণত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কেনা হয়। এতে হয় খুব কম মেকিং চার্জ থাকে বা কোনও মেকিং চার্জ লাগে না।
যদি কেউ উপরের হিসেবেই ১০ গ্রামের কয়েন কেনেন, তাহলে সোনার দাম হবে ১,১০,০০০ টাকা।
জিএসটি (৩%) – ৩,৭৯৫ টাকা
মোট মূল্য – ১,১৩,৭৯৫ টাকা
হিসেব সহজ- গয়নার তুলনায় সোনার কয়েনের জন্য ১৬,৫০০ টাকা কম খরচ করতে হচ্ছে।
গয়না বনাম মুদ্রা: বিনিয়োগের জন্য কোনটি সঠিক?
গয়নার সুবিধা হল এটি পরা যায়, কিন্তু বিক্রি করার সময় মেকিং চার্জ ফেরত পাওয়া যাবে না। কয়েন বিক্রি করলে সেই ঝামেলা নেই- সোনার যা দাম যাবে, সেটাই পাওয়া যাবে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য কয়েন তাই একটি ভাল বিকল্প। তবে, কেউ যদি অলঙ্কারপ্রেমী হন, তাহলে গয়না ছাড়া তিনি কিছু কিনতে চাইবেন না সেটাই স্বাভাবিক।ং
আরও পড়ুন: সোনা ও রুপোর দাম এবার সস্তা হবে না কি বাড়তেই থাকবে? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন জানলে লাফিয়ে উঠবেন
গয়না বনাম মুদ্রা: টাকা কোথায় সাশ্রয় হবে?
যদি উদ্দেশ্য বিনিয়োগ হয়, তাহলে সোনার কয়েন কেনা উচিত হবে। কোনও মেকিং চার্জ নেই; টাকা সরাসরি সোনায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে, যেহেতু গয়না পরার জন্য তৈরি হয়, তাই সঞ্চয়ের কোনও সুবিধা এখানে নেই। বিশেষজ্ঞরা তাই বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কয়েন কেনার পরামর্শ দেন এবং পরার জন্য সোনা কেনার পরিকল্পনা থাকলেলে গয়নাকেই সেরা বিকল্প বলেন!