মঙ্গলবার ইনসলভেন্সি ব্যাঙ্করাপ্সি কোড (আইবিসি)-এর সেকশন ১০-এর আওতায় এই সমস্যার সমাধানের জন্য ন্য়াশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)-এর দ্বারস্থ হয়েছিল গো এয়ারলাইন্স (ইন্ডিয়া) লিমিটেড। এই দেউলিয়া অবস্থার জন্য নথি পেশ করতে হবে গো ফার্স্ট বিমান সংস্থাকে। ইতিমধ্যেই দুই দিনের জন্য বিমান বাতিল করার জেরে গো ফার্স্টের বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিস জারি করে ডিজিসিএ।
advertisement
আরও পড়ুন- নৈশ জীবনের হাতছানি! অন্ধকার নামতেই যেন কোনও জাদুকাঠির ছোঁয়ায় জেগে ওঠে ভারতের এই সব শহর
কিন্তু গো ফার্স্ট এমন আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়ল কেন? ওই বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, তারা এনসিএলটি-র দ্বারস্থ হয়েছে, কারণ প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ইন্টারন্যাশনাল এরো ইঞ্জিনস যে সব ইঞ্জিন সরবরাহ করেছে, সেগুলি বেশির ভাগই বিকল হয়ে যাচ্ছে। আর ধারাবাহিক ভাবে এই বিকল হয়ে যাওয়ার জেরে প্রায় ৫০ শতাংশ গো ফার্স্ট এয়ারবাস এ৩২০নিও এয়ারক্র্যাফ্ট ওড়ানো যাচ্ছে না। গো ফার্স্ট আরও জানিয়েছে যে, অপারেশনাল খরচের প্রায় ১০০ শতাংশই তাদের নিজেদের বহন করতে হচ্ছে। যার জেরে তাদের কাঁধে চেপেছে প্রায় ১০,৮০০ কোটি টাকার হারানো রাজস্ব এবং অতিরিক্ত খরচের বোঝা।
বিগত তিন বছরে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে ওই বিমান সংস্থায়। এর মধ্যে প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা ঢালা হয়েছে গত ২৪ মাসে। আর চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই শুধুমাত্র ২৯০ কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছে। সূচনা কাল থেকে এখনও পর্যন্ত ওই বিমান সংস্থায় সব মিলিয়ে প্রায় ৬৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি ভারত সরকারের ব্যতিক্রমী এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই সাহায্য পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গো ফার্স্টের আশা, চলতি বছরের অগাস্ট অথবা সেপ্টেম্বর মাসেই ফের পুরোপুরি ভাবে বিমান চলাচল চালু করা সম্ভব হবে।