বিহারের মধুবনী জেলার বাসিন্দা অশোক কুমার নতুন পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেছেন এবং এর মাধ্যমে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন ৷ আলর চাষ করে উনি বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন ৷ চাষের জন্য খরচা হয় ২৫ লক্ষ টাকা ৷ এই হিসেব অনুযায়ী বছরে ২৫ লক্ষ টাকা লাভ করেন তিনি ৷
advertisement
আলু যে কোনও মাটি বা জমিতে চাষ করা যায় ৷ তবে দো-আঁশ মাটিতে আলু চাষ সবচেয়ে ভাল হয় ৷ পাশাপাশি খেয়াল রাখতে এভাবে আলু চাষের জন্য এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে বৃষ্টিপাত হলে জল জমে না। বিশ্বস্ত কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে আলুবীজ সংগ্রহ করতে হয়। বীজ আলু যদি খারাপ হয় তাহলে আলু চাষের সব আয়োজনই বিফলে চলে যাবে। সময় সময়ে কীটনাশক, সার প্রয়োগ করা জরুরি ৷ এক বিগে জমিতে ৫-৬ ক্যুইন্টাল বীজের দরকার হবে। বীজগুলির মধ্যে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ৷ এর থেকে কম দূরত্ব হলে আলুর সাইজ ছোট হবে ৷ আলু চাষে সেচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বীজ রোপণের আগে ইউরিয়া এবং টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে। বীজ রোপণের আগের দিন পটাশ ও গোবর সার এক সঙ্গে মিশিয়ে জমিতে ছিটিয়ে দিতে হবে।
আপনি চাইলে ফসল মান্ডিতে বিক্রি করতে পারেন ৷ কিন্তু এজেন্টেদের চক্করে সঠিক দাম নাও পেতে পারেন ৷ এর বদলে এরকম ম্যানুফ্যাকচার্সদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন যারা আলুর প্রোডাক্ট বানায় ৷ সরকারি বিভাগ ও ওয়েবসাইট ছাড়া আপনি ইন্টারনেটে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা সম্বন্ধে জানতে পারবেন ৷ এছাড়া দেশের বড় ম্যানুফ্যাকচার্সদের potatopro.com এ পেয়ে যাবেন ৷ এরকম সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগযোগ করে মোটা টাকা আয় করতে পারবেন ৷