তাঁর জন্ম কেরলের এক দরিদ্র পরিবারে৷ কৈশোরে পৌঁছনর আগেই উপার্জন শুরু করেছিলেন৷ মাত্র ১১ বছর বয়সে পরিবহণ সংক্রান্ত ব্যবসায় সাহায্য করতেন বাবাকে৷ নিজেও মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন৷
তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে যায় ১৯৭৬ সালে৷ সে বছর তিনি শারজা গিয়েছিলেন৷ বুঝতে পেরেছিলেন মধ্য এশিয়ার অসহ্য গরমে প্রচুর চাহিদা হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রের৷ ধীরে ধীরে বাতানুকূল যন্ত্রের কারবারের সুলুকসন্ধান জানতে শুরু করেন তিনি৷
advertisement
আজ জর্জ জিইও গ্রুপ অব কম্পানিজ-এর কর্ণধার৷ মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয় শিল্পপতিদের মধ্যে তিনি অন্যতম৷ বুর্জ খলিফায় সম্পত্তি বৃদ্ধি তাঁর নেশা৷ সেই নেশার জন্মও এক ঠাট্টা থেকেই৷ ২০১০ সালে এক আত্মীয় তাঁকে মজা করে বলেন যে বুর্জ খলিফায় তিনি কোনওদিন ঢুকতেই পারবেন না৷ সেদিনই রোখ চেপে যায় তাঁর৷
তার পর থেকে আজ পর্যন্ত মোট ২২ টি ফ্ল্যাটের মালিক জর্জ৷ সেখানে আরও সম্পত্তি বাড়াতে চান কেরলের এই ভূমিপুত্র৷
সম্পত্তি প্রদর্শনেও তিনি কুণ্ঠাহীন৷ শোনা যায়, বুর্জখলিফায় তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটের দেওয়াল, ছাদ ও মেঝে নাকি সোনায় মোড়া! বাণিজ্যমহলে যত প্রতিপত্তি বেড়েছে তাঁর, ততই ছড়িয়েছে জল্পনা কল্পনা এবং গুঞ্জনও৷