আর সরকারও প্রতিটি শ্রেণী এবং প্রতিটি বয়সের গ্রাহকদের জন্য নিত্যনতুন স্কিম নিয়ে আসছে। আজ সরকারি কিংবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এই বিভিন্ন ধরনের স্কিমের বিষয়েই আলোচনা করে নেওয়া যাক। যে স্কিমগুলি ৮ শতাংশেরও বেশি সুদ প্রদান করে থাকে।
আরও পড়ুন: Pan-Aadhaar লিঙ্ক তো করালেন, কিন্তু কাজটা আদৌ হল তো? সেটার প্রমাণ পাবেন কীভাবে?
advertisement
ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট:
এই সব স্কিমের তালিকায় প্রথমে রয়েছে ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট। যেসব গ্রাহক বা বিনিয়োগকারীরা ১০০০ টাকা কিংবা তার বেশি অর্থ ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ৭.৭ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হয়ে থাকে।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা:
আর একটি দারুন স্কিম হল সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা। যা বিনিয়োগকারীদের ডিপোজিটের উপর ৮ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা ১০ বছরের কম বয়সী শিশুকন্যার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। তাতে ন্যূনতম ২৫০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ২ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে এই ৬টি কাজ, না হলে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে!
পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিম:
এই স্কিমে বিনিয়োগকারীদের ৭.৪ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হয়। এক-একটি অ্যাকাউন্টে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে। তবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখা যাবে।
মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট:
সাম্প্রতিক কালে সরকার একটি নতুন স্কিম এনেছে। আর সেটি হল মহিলা সম্মান সেভিংস সার্টিফিকেট। যা বিশেষ ভাবে মহিলাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এর সুদের হার ৭.৫ শতাংশ।
কিষাণ বিকাশ পত্র:
এটি আর একটি পোস্ট অফিস স্কিম। ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া হয় এই স্কিমের ক্ষেত্রে। এই স্কিমে যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করা হয়, তা ১১৫ দিনে দ্বিগুণ হয়ে যায়।
সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম:
এটা বয়স্কদের জন্যই মূলত তৈরি করা হয়েছে। এই স্কিমে ৮.২ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হয়। আর এক্ষেত্রে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা হল ৩০ লক্ষ টাকা।