সেফগোল্ডের তথ্য অনুযায়ী, গেইনস পিয়ার টু পিয়ার লন্ডিং, যেখানে গ্রাহকরা নিজেই জুয়েলার এবং লিজ পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন। জুয়েলারির তরফে অফার করা ডিল গ্রাহকদের বেছে নেওয়া সময় পর্যন্ত করা হয়। সেফগোল্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া সমস্ত এমএসএমই জুয়েলার্সদের কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করা রয়েছে। কেওয়াইসি করার পরই জুয়েলার্সদের নাম এই ওয়েবসাইটে যুক্ত করা হয়।
advertisement
সেফগোল্ড প্ল্যাটফর্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং এমডি গৌরব মাথুর জানিয়েছেন যে, এই যোজনার মাধ্যমে এক জন ব্যক্তি ন্যূনতম ০.৫ গ্রাম এবং অধিকতম ২০ গ্রাম ডিজিটাল গোল্ড লিজ হিসাবে নিতে পারেন। এই লিজ ৩০ দিন থেকে ৩৬৪ দিন পর্যন্ত নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ লিজই ৯০ দিন থেকে ১৮০ দিন পর্যন্ত নেওয়া হয়।
এর মাধ্যমে গ্রাহক প্রতি বছর ৩-৬ শতাংশ উপার্জন করতে পারেন। যা দৈনিক এবং মাসিক ভিত্তিতে করা হয়। এর পর সেটি গ্রাহকদের ডিজিটাল গোল্ড অ্যাকাউন্টে যুক্ত করা হয়। এ-ক্ষেত্রে অর্জিত আয় গোল্ডের হিসেবেই হয়। এ-ক্ষেত্রে লিজ শেষ হওয়ার পর আসল সোনা এবং সোনা রূপে অর্জিত আয় গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যুক্ত করা হয়।
গৌরব মাথুর উদাহরণস্বরূপ জানিয়েছেন যে, যদি কোনও গ্রাহক ১০ গ্রাম সোনা ৩ মাসের জন্য ৩% বার্ষিক হিসেবে এক জন জুয়েলারকে লিজ দিয়ে থাকে, তা-হলে সেই গ্রাহক ৩ মাস পরে লিজ রেন্টাল আয় হিসাবে ৭৫ মিলিগ্রাম সোনা পাবেন।
এই পদ্ধতির ঝুঁকি:
সেফগোল্ড ওয়েবসাইটে ডিজিটাল গোল্ড লিজের ক্ষেত্রে পাঁচটি ঝুঁকি রয়েছে। সেগুলি হল -
1 - সেফগোল্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে, ডিজিটাল গোল্ড লিজ একটি আনরেগুলেটেড প্রোডাক্ট।
2 - লিজের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে সেটি বিক্রি করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে লিক্যুইডিটি রিস্ক রয়েছে।
3 - এ-ক্ষেত্রে নিজের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও জুয়েলার্স সোনা ফেরত না-দিলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
4 - লিক্যিইডিটি রিস্ক ছাড়াও প্রাইস রিস্ক রয়েছে।
৫ - সেফগোল্ড ক্যাপিটাল রিটার্নের সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও ধরনের গ্যারান্টি দেয় না।
এ ক্ষেত্রে এই ধরনের পদ্ধতিতে সোনা লিজ দেওয়ার আগে সমস্ত বিষয় ভাল করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সমস্ত কিছু ভাল করে না-জেনে সোনা লিজ দিলে প্রভূত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।