এই প্রসঙ্গে ওই আধিকারিক বলেন, বর্তমানে এই নিয়ে সিপিএসইগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদের চাহিদাগুলো খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারত বন্ড ইটিএফ-এর চতুর্থ ট্র্যাঞ্চের জন্য ইস্যুর আকার আগের বছরের মতোই হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্র সরকার গত বছরের ডিসেম্বরে ১,০০০ কোটি টাকার তৃতীয় ধাপ চালু করেছিল। এই সময়ের মধ্যে, এটি ৬,২০০ কোটি টাকার দর দিয়ে ৬.২ গুণ সাবস্ক্রাইব করা হয়েছে।
advertisement
প্রথম বন্ড ইটিএফ ২০১৯ সালে এসেছিল: বন্ড ইটিএফগুলি প্রথম ২০১৯ সালে বাজারে আসে। এটি সিপিএসইগুলিকে এর মাধ্যমে ১২,৪০০ কোটি টাকা তুলতে সাহায্য করেছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ে যথাক্রমে ১১,০০০ কোটি এবং ৬,২০০ কোটি টাকা তোলে। ইটিএফ এখনও পর্যন্ত তার তিনটি অফারে ২৯,৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
৫০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: ভারত বন্ড ইটিএফ শুধুমাত্র পাবলিক সেক্টর কোম্পানিগুলির 'এএএ' রেটযুক্ত বন্ডে বিনিয়োগ করে। এডেলউইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট এই স্কিমের মূলধন ব্যবস্থাপক। ২০১৯ সালের শুরু থেকে ইটিএফ-এর ব্যবস্থাপনার অধীনে সম্পদ ৫০,০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে ইটিএফ-এর জন্য পাঁচটি ভিন্ন মেয়াদের সময়কাল রয়েছে। সেগুলি হল ২০২৩, ২০২৫, ২০৩০, ২০৩১ এবং ২০৩২।
সরকারি আধিকারিকের কথায়, ‘বিনিয়োগকারীরা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী যাতে বিনিয়োগের মেয়াদকাল বেছে নিতে পারেন, তাঁর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। ম্যাচিউরিটির সময়কাল প্রসারিত করার চেষ্টা হচ্ছে। এই ধাপেও আমরা বিনিয়োগকারীদের মেয়াদপূর্তির সময় বেছে নেওয়ার জন্য নতুন বিকল্প যোগ করতে চাই’।
যে সব বিনিয়োগকারী বাজারের নিরাপদ জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান তাঁদের জন্য এটা আদর্শ। নিরাপদ উপায়ে টাকা দ্বিগুণ করার জন্য ভারত বন্ড ইটিএফ একটি ভাল বিকল্প হতে পারে, এখানে যে কেউ ফিক্সড ডিপোজিট বা ট্যাক্স ফ্রি বন্ডের চেয়ে বেশি রিটার্ন পেতে পারে।