সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাসে তেলের দাম নেমে যায় ব্যারেল প্রতি -৩৭.৬৩ ডলারে৷ ইতিহাসে এমন ভাবে তেলের দাম কমার রেকর্ড নেই৷ ১৯৯৯ সালের পরে এই প্রথম বিশ্ববাজারে এই ভাবে দাম কমল তেলের৷
অ্যাভাট্রেডের বিশ্লেষক নইম আসলামের কথায়, 'আসলে এই দাম পড়ার কারণ হল, বাজারে চাহিদা নেই, তেল জমিয়ে রাখার জায়গা কম৷ বিশ্বে উত্পাদনও কম হচ্ছে৷ আসলে লকডাউন, বিশ্বমন্দার জেরে তেলের ভাণ্ডার পূর্ণ হয়ে গিয়েছে৷ অবস্থা এমনই যে, কয়েক দিন পরে উত্পাদিত তেল রাখার জায়গা থাকবে না৷ ফলে দাম আরও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷'
advertisement
আন্তর্জাতিক বাজারে সাধারণত এক মাস পরের তেলের দাম বর্তমানে নির্ধারিত হয়। এর আগে মে মাসে বিক্রির জন্য তেল কেনা-বেচার যে চুক্তি হয়েছিল আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। বিক্রেতারা মে মাসে অর্থাৎ এখন থেকে দুই সপ্তাহ পরে যে তেল বিক্রি করবেন তা যদি এখনই সংরক্ষণাগারে রাখতে চান তাহলে তাদেরকে তেল সংরক্ষণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে৷ এই কারণেই তাঁরা তেলের দাম শূন্যের নীচে নামিয়ে দিয়ে তেল সংরক্ষণাগারের খরচ কমানোর চেষ্টা করেছেন।
করোনা ভাইরাসের মহামারীর জেরে সারা বিশ্বে লকডাউনের ফলে চাহিদা কমে আসায় গত এক মাস ধরে তেল উত্তোলন কমানো নিয়ে বিতর্ক চলছে।