এই ফর্মুলা হল – ৩/২০/৩০/৪০। ৩ হল বাড়ির মোট খরচ। এটা বার্ষিক আয়ের তিন গুণের বেশি হওয়া উচিত নয়। সুতরাং একজন ব্যক্তি যদি বছরে ১০ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তাহলে বাড়ি তৈরি বা কেনার জন্য তিনি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেন। তার বেশি হওয়া উচিত নয়। অবশ্যই বড় শহরে বাড়ি কেনা খরচসাপেক্ষ। আয় ছাড়া ইক্যুইটি, সম্পত্তি বা পিতামাতার থেকে আর্থিক সাহায্য পেলে ভাল। না হলে আয় না বাড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
advertisement
আরও পড়ুন: পড়াশোনা থেকে বিয়ে, কন্যা শিশু কল্যাণে কেন্দ্রের এই ৪ স্কিমে মিলছে বিশেষ সুবিধা!
পরেরটা হল ২০। এখানে বন্ধকী ২০ বছরের কম রাখার কথা বলা হচ্ছে। যত কম তত ভাল। ঋণ অল্প হলে সুদ কম শুধতে হবে। যদি ১৭ বছরের লোনে ইএমআই দেওয়ার সামর্থ্য থাকে তাহলে তাই হোক। সুশৃঙ্খল বিনিয়োগকারী হলে সুবিধা। তাহলে ৩০ বছরের ঋণ নেওয়া যায়। আক্রমণাত্মক এবং স্মার্ট ভাবে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ হবে।
আরও পড়ুন: PNB-র বিশাল পরিবর্তন! ১২ ডিসেম্বর থেকে বড় বদল, এই কাজ না করলেই লেনদেন বন্ধ
পরেরটা হল ৩০। নিশ্চিত করতে হবে বর্তমানে যে ইএমআই দেওয়া হয় (গাড়ি, ব্যক্তিগত ঋণ, ইত্যাদির জন্য অন্যান্য সমস্ত ইএমআই সহ) তা যেন মোট আয়ের ৩০ শতাংশের বেশি না হয়। সুতরাং যে ব্যক্তি বার্ষিক ৭ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তাঁর বার্ষিক কিস্তির মূল্য ২,১০,০০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে ১৭,৫০০ টাকা। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি ২০ বছরের জন্য ২০ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারেন।
ফরেমুলার শেষ সংখ্যা হল ৪০। বাড়ি কেনার সময় ন্যূনতম যে ডাউন পেমেন্ট করতে হবে তা বাড়ির খরচের ৪০ শতাংশ হওয়া উচিত। অর্থাৎ বাড়ির মোট খরচ (৩), সর্বোচ্চ ২০ বছরের ঋণ, সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ইএমআই এবং ৪০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট।