কোনও ভাবে দালাল বা নির্মাতা কোনও ‘যোজনা’-র আওতায় বাড়িটি বিক্রি করেছে না তো! নয়ডা এলাকার হাজার হাজার মানুষ এমন যোজনায় ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কিন্তু প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা ফেঁসে রয়েছেন আইনি ঝামেলায়। টাকা চলে যাচ্ছে, কিন্তু হাতে আসছে না সাধের ফ্ল্যাট। প্রায় সাত-আট বছর আগে সুপারটেক ইকোভিলেজ ২-এ একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন শশী জ্যোতি। তাঁকে ‘রেন্টাল স্কিম’-এ ফ্ল্যাট বিক্রি করেছিল নির্মাতা সংস্থা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন শশী। সেই টাকা গিয়েছিল নির্মাতার অ্যাকাউন্টে। টাকা নেওয়ার পরে, বাড়ি নির্মাণ সম্পূর্ণ না পাওয়া পর্যন্ত, ব্যাঙ্কের ইএমআই দেওয়ার কথা ছিল নির্মাতার।
advertisement
পাশাপাশি শশী এখন যে ভাড়া বাড়িতে থাকেন তার টাকাও দেওয়ার কথা ছিল নির্মাতার। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি। শশী বলেন, ‘ব্যাঙ্কের ইএমআই শোধ করছি আমি। এত বছর পরেও বুকিং করা ফ্ল্যাটের চাবি হাতে পাইনি। উপরন্তু ভাড়া বাড়িতে থাকি। সেই টাকাও মেটাতে হচ্ছে আমাকে।’ শশীর স্বামী অসুস্থ। মাঝে মধ্যেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এদিকে ঘর বাঁধার যে স্বপ্ন শশীরা দেখেছিলেন তাও ভেঙে পড়েছে। এমন নানা প্রতিশ্রুতি ও যোজনার ফাঁদে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
আর এক শিকার মধু অরোরা। তিনি একজন প্রবীণ নাগরিক। মধুও একই ভাবে ফ্ল্যাট কিনতে চেয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর পরেও সেই ফ্ল্যাট হাতে পাননি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার অবসরের টাকা দিয়ে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলাম। জমানো সমস্ত পুঁজি ওই ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেছি। কিন্তু বছরের পর বছর চলে গেল, ফ্ল্যাট তৈরি হল না। এদিকে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।’
মূল্য বৃদ্ধির এই সময়ে নিজের সমস্ত অর্থ খুইয়েছেন মধু। তার উপর তাঁকে থাকতে হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে। প্রবল অর্থ কষ্টে পড়েছেন তাঁরা। মধু বলেন, ‘সমস্ত ক্রেতাকে বিভিন্ন ভাবে স্কিমে জড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষ এই ভাবে ঠকেছেন। বছরের পর বছর মানুষ অপেক্ষা করে রয়েছে নিজের বাড়ি পাওয়ার জন্য।’
আরও পড়ুন, বিপদসীমার কাছে বইছে একাধিক নদীর জল, উত্তরবঙ্গ সফরে এসে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা
আরও পড়ুন, তৃণমূলের জন্য তৈরি ‘অ্যান্টিবায়োটিক দাওয়াই’! বেনজির হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এদিকে, IRP (কর্পোরেট ইনসলভেন্সি রেজোলিউশন প্রসেস)-র তরফে হিতেশ গয়াল বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। গত সপ্তাহেই কথা হয়েছে। আমরা পদক্ষেপ করার চেষ্টা করছি।’