এই যোজনায় মাসে ৩০০০ অর্থাৎ বছরে ৩৬০০০ টাকা পেয়ে যাবেন কৃষকরা ৷ এর জন্য ৫৫ থেকে ২০০ টাকার মান্থলি প্রিমিয়াম দিতে হবে ৷ বর্তমানে এই স্কিমে ২১ লক্ষের বেশি কৃষকরা নিজেদের নথিভুক্ত করিয়েছেন ৷ দেখে নিন কীভাবে এই যোজনার সুবিধা নেবেন ৷
পিএম কিষান মানধন যোজনার সুবিধা তাঁরাই নিতে পারবেন যাঁদের কাছে অধিকতম ২ হেক্টর পর্যন্ত চাষের জমি রয়েছে ৷ যোজনায় ন্যূনতম ২০ বছর এবং অধিকতম ৪০ বছর পর্যন্ত প্রায় ৫৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিতে হবে মাসে ৷ এই যোজনায় যত টাকা যোগদান কৃষকের হবে ঠিক তত টাকা যোগদান থাকবে সরকারের ৷ অর্থাৎ কৃষক যদি মাসে ৫৫ টাকা প্রিমিয়াম দেয় তাহলে সরকারের তরফেও ৫৫ টাকা দেওয়া হবে ৷
advertisement
নাম নথিভুক্ত করার জন্য কৃষকদের নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে ৷ এর জন্য আধার কার্ড ও জমির কাগজ পত্র জমা দিতে হবে ৷ পাশাপাশি লাগবে ২টি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও ব্যাঙ্কের পাসবুক ৷ রেজিস্ট্রেশনের সময় কৃষকদের পেনশন ইউনিক নম্বর ও পেনশন কার্ড দেওয়া হবে ৷ এর জন্য আলাদা করে কোনও ফি দিতে হবে না ৷
কত টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবেন কৃষকের বয়সের উপরে ৷ ১৮ বছর বয়সে এই যোজনা শুরু করলে মাসে ৫৫ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে অর্থাৎ বছরে ৬৬০ টাকা ৷ ৪০ বছরে এই যোজনায় নাম নথিভুক্ত করলে ২০০ টাকা মাসে মানে বছরে ২৪০০ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে ৷
কেউ যদি মাঝখানে স্কিম বন্ধ করে দেয় তাহলে ততদিন পর্যন্ত জমা টাকা ডুববে না ৷ যে সময় যোজনায় বন্ধ করবেন সেই সময় পর্যন্ত যা টাকা জমা করেছেন তাতে ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদের হারের হিসেবে সুদ দেওয়া হবে ৷ পলিসি হোল্ডারের মৃত্যু হলে তাঁর স্ত্রী ৫০ টাকা পাবেন ৷