কিন্তু, যাঁরা তাঁদের চাষে বেশি রাসায়নিক ব্যবহার করেছেন, যার কারণে ফসল পুড়ে গিয়েছে বা অন্য কোনও রোগ দেখা দিয়েছে তাঁরা ট্রাইকোডার্মা ব্যবহার করতে পারেন। কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র মোরেনায় নিযুক্ত সহকারী উদ্ভিদ সুরক্ষা কর্মকর্তা অভিষেক সিং বাদল বলেন যে, ট্রাইকোডার্মা অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সেই সব কৃষকের ওষুধ যাঁদের ফসল ছত্রাকজনিত রোগে আক্রান্ত। মাটি শোধন, বীজ শোধন এবং উদ্ভিদ শোধন ট্রাইকোডার্মা দিয়ে করা যেতে পারে, এটি ব্যবহার করলে গাছপালা শক্তিশালী হয়। এটি গাছের বৃদ্ধির সহায়ক হয়। গাছের ফলন ভাল হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অফ বরোদাতে ১,০০,০০০ টাকা জমা করলে কত টাকা রিটার্ন পাবেন ? হিসেব দেখে নিন
অভিষেক সিং বাদল উদাহরণ দেন যে, টমেটো চাষে স্টেমরড নামের একটি রোগ দেখা দেয়, যা ছত্রাকের কারণে হয়। বীজ বপন বা চারা রোপণের সময় যদি আমরা ট্রাইকোডার্মা ব্যবহার করি, তাহলে এটি এই রোগ বন্ধ করে দেবে। এটি রোগ প্রতিরোধ করে। যদি কেউ বীজ শোধন করেন, তাহলে প্রতি কেজি বীজে ৫ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা মিশিয়ে নিতে হবে। যদি কেউ মাটি শোধন করেন, তাহলে ১ কেজি পচা গোবর সারের সঙ্গে ৫ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা মিশিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন রেখে দিতে হবে, তাহলে এটি ১ কেজি ট্রাইকোডার্মা সারে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: এখন আপনি কয়েক মিনিটের মধ্যেই PF -এর টাকা তুলতে পারবেন, জেনে নিন ঠিক কী হতে চলেছে
এর পর মাটিতে তা মিশিয়ে মাটি শোধন করা যেতে পারে। যে সব কৃষক চারা রোপণ করতে যাচ্ছেন, তাঁরা ৫ থেকে ১০ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা ১ লিটার জলে দ্রবীভূত করে শিকড় ডুবিয়ে রাখতে পারেন, গাছটিকে যতটা মাটির ভেতরে পুঁতে রাখা হয় ততটাই ডুবিয়ে রাখতে হবে, তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট ছায়ায় রাখার পর এটি রোপণ করা যেতে পারে। ট্রাইকোডার্মা কৃষি গবেষণা কেন্দ্র বা কৃষি অফিসে পাওয়া যায়। যে সব প্রতিষ্ঠান এটি নিয়ে কাজ করছে সেখান থেকেও এটি সংগ্রহ করা যেতে পারে। কৃষকরা ২০ টাকার ক্যাপসুল যেমন পাবেন, তেমনই চাইলে ট্রাইকোডার্মা নিজেরাই তৈরি করতে পারেন।