পিপিএফ-এর মেয়াদ ১৫ বছর। প্রতিদিন ৭০ টাকা জমা করে লাখ টাকার তহবিল তৈরি করা যায়। পিপিএফ-এ জমা করা করা টাকায় চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ মেলে। এক্ষেত্রে সুদের হার কেন্দ্র নির্ধারণ করে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই সুদের হার পর্যালোচনা করা হয়। অর্থাৎ প্রতি ত্রৈমাসিকে সুদের হার বাড়তে বা কমতে পারে। র্তমানে পিপিএফ স্কিমে ৭.১ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ দেওয়া হয়।
advertisement
কিছু ক্ষেত্রে, ১৫ বছরের আগেও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যেতে পারে। যদি কোনও অ্যাকাউন্টধারী, তার পত্নী বা অন্য কোনও নির্ভরশীল ব্যক্তির গুরুতর অসুস্থতা থাকে, তাহলে মেয়াদপূর্তির আগে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সুবিধা পাওয়া যায়। একইভাবে, শিশুদের উচ্চশিক্ষার জন্য অর্থের প্রয়োজন হলেও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে সময়ের আগেই টাকা তোলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গল বেঞ্চের লাগাতার 'বিস্ফোরণ', সরে দাঁড়াল ডিভিশন বেঞ্চ! হাই কোর্টে বেনজির ঘটনা
প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অভিভাবকরাও নাবালক সন্তানের নামে খুলতে পারেন পিপিএফ অ্যাকাউন্ট। একটি পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে ন্যূনতম ৫০০ টাকা প্রয়োজন। পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থাকলে ঋণও নেওয়া যায়। অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ বছরে এই সুবিধা মেলে। পিপিএফ ঋণের সুদের হার অ্যাকাউন্টে পাওয়া সুদের হারের চেয়ে ১ শতাংশ বেশি। সুতরাং বর্তমান সুদের হার যদি ৭.১ শতাংশ হয়, তাহলে বার্ষিক ৮.১ শতাংশ সুদের হারে ঋণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে ফের দুশ্চিন্তার মেঘ, আন্দোলনের ডাক! বিরোধের নাম জিটিএ
পিপিএফ অ্যাকাউন্টে এক বছরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমার উপর আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় কর ছাড় পাওয়া যায়। পিপিএফ ব্যালেন্সে অর্জিত সুদও সম্পূর্ণ করমুক্ত। এছাড়াও, মেয়াদ শেষে যে রিটার্ন মিলবে তার উপরও কোনও কর নেওয়া হয় না। তাই পিপিএফ-এ ট্রিপল ট্যাক্স সুবিধা রয়েছে।