করদাতা আইটিআর যাচাই করার পরে তবেই আয়কর দফতর তা খতিয়ে দেখে। এক জন আয়করদাতাকে রিটার্ন দাখিল করার প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে আয়কর রিটার্ন যাচাই করতেই হবে।
আরও পড়ুন: আপনার ফোনের 5G নেটওয়ার্ক পেতে আর কত দেরি, বাধা কোথায়! জেনে নিন বিস্তারিত
ই-ফাইলিং ওয়েবসাইটে আয়কর বিভাগ জানিয়ে দিয়েছে, "রিটার্ন ফাইলিং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে আয়করদাতাকে আয়কর রিটার্ন যাচাই করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাচাই না-করা হলে ওই আইটিআর-কে অবৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে। ই-ভেরিফিকেশন হল আয়করদাতার আইটিআর যাচাই করার সবচেয়ে সুবিধাজনক এবং তাৎক্ষণিক পদ্ধতি।"
advertisement
ই-ফাইলিং ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, মোট ৫.৮৩ কোটি আয়কর রিটার্ন দাখিল করা হয়েছিল, যার মধ্যে গত ৩১ জুলাই অর্থাৎ আইটিআর ফাইল করার শেষ তারিখ পর্যন্ত ৪.০২ কোটি আয়কর রিটার্ন যাচাই করা হয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, আয়কর বিভাগ গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৩.০১ কোটি যাচাই করা আইটিআর-এর প্রক্রিয়া করেছে।
আইটিআর ই-ভেরিফিকেশনের শেষ তারিখ:
এখন করদাতাদের আয়ের রিটার্ন দাখিল করার ৩০ দিনের মধ্যে তাদের আয়কর রিটার্ন ইলেকট্রনিক ভাবে যাচাই বা ই-ভেরিফাই করতে হবে। আগে এই সময়সীমা ছিল ১২০ দিন। একটি বিজ্ঞপ্তিতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস জানিয়েছে, এটি আয়কর যাচাইয়ের সময়সীমাকে বৈদ্যুতিন ভাবে আয়ের রিটার্নের ডেটা প্রেরণ বা আপলোড করার তারিখ থেকে কমানো হল। এই নতুন নিয়মটি ১ আগস্ট, ২০২২ থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ইউপি-বিহারে বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম! দেখে নিন আপনার শহর আজ কত হল জ্বালানির দাম
আইটিআর যাচাই না করলে কী হবে:
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যাচাই না-করা হলে একটি আইটিআর-কে অবৈধ বলে গণ্য করা হয়। এর অর্থ হল শাস্তি স্বরূপ ৫০০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে। যদি আয়করদাতা সময় মতো এটি যাচাই করতে ভুলে যান, তা-হলে বিলম্বের জন্য উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। শুধু তা-ই নয়, বিলম্বের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে অনুরোধও জমা দিতে হবে। কিন্তু আয়কর দফতর সেই অনুরোধের অনুমোদন করলে তবেই রিটার্নটিকে যাচাইকৃত হিসাবে গণ্য করা হবে।
আইটিআর ই-ভেরিফাই করার বিভিন্ন উপায়:
আধারের সঙ্গে রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরের ওটিপি
অথবা, আয়করদাতার প্রি-ভ্যালিডেটেড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তৈরি ইভিসি
অথবা, প্রি-ভ্যালিডেটেড ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তৈরি ইভিসি
অথবা, এটিএম-এর মাধ্যমে ইভিসি (অফলাইন পদ্ধতি)
অথবা, নেট ব্যাঙ্কিং
অথবা ডিজিটাল স্বাক্ষর সার্টিফিকেট বা ডিএসসি (DSC)।