ইসিআইসি বোর্ডের অমরজিৎ কৌর জানিয়েছেন যে, এর আওতায় ইএসআইসির আওতাভুক্ত শ্রমিকরা তাঁদের বেতনের ৫০% নগদ বেকার ভাতা (ইএসআইসি স্কিম) হিসেবে পেতে পারেন। তিনি বলেছিলেন যে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে৷ করোনা পরিস্থিতিতে যখন আর্থিকভাবে অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে, বহু মানুষ কাজও হারাচ্ছেন তখন এই প্রকল্পে বহু শ্রমিক উপকৃত হবেন। সেক্ষেত্রে তিন মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ টাকা তাঁরা পেতে পারেন বেকারভাতা হিসেবে৷ তবে তিনি আরও বলেছিলেন যে এই প্রকল্পের নিয়মে যদি আরও কিছুটা ছাড় মিলত তাহলে এটি সরাসরি প্রায় ৫ লক্ষ শ্রমিককে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারত।
advertisement
শিল্পকর্মীরা যাঁরা প্রতি মাসে ২১হাজার বা তার চেয়ে কম বেতন পান তাঁদের ESIC প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এই ধরনের কর্মচারীদের প্রতি মাসের বেতনের একটি অংশ কেটে নেওয়া হয়, যা ইএসআইসির মেডিক্যাল বেনিফিট হিসাবে জমা হয়। শ্রমিকদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ০.৭৫ শতাংশ এবং নিয়োগকারীর কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩.২৫ শতাংশ ইএসআইসি জমা হয়।
বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন নতুন নিয়মে শ্রমিকরা নিজেদের টাকার শতাংশ সরাসরি ইএসআইসি-এর শাখা অফিস থেকে তুলে নিতে পারবেন এবং সেটি শাখা অফিস থেকেই নিয়োগকর্তার থেকে যাচাই করা হবে। এর পরে, সব খতিয়ে দেখে সরাসরি শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
কাজ ছেড়ে দেওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এই টাকা দাবি করা যেতে পারে৷ যদিও আগে ৯০ দিনের সময়সীমা ছিল এই কাজের জন্য। এর জন্য প্রয়োজন কর্মীদের ১২ ডিজিটের আধার নম্বর। এটি 'অটল বিমা ব্যক্তি কল্যাণ প্রকল্প' এর আওতায় করা হবে। এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছিল, যেখানে জানানো হয়েছিল যে, ২৫ শতাংশ বেকার এর সুবিধা পেতে পারেন। যদিও সেই সময়ে এর কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। তবে এখনও নতুন নিয়ম কার্যকার করার ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রকের থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি আসেনি।