নতুন ব্যবস্থায় নিয়োগকর্তার উপর নির্ভর করে থাকার দিন শেষ। এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের অফিসেও আর যেতে হবে না। কর্মীদের আশ্বস্ত করে মাণ্ডবিয়া বলেছেন, “এটা আপনার কষ্টের টাকা। তাই এটিএম থেকে যখন খুশি তুলতে পারবেন।“ প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলাই এর মূল উদ্দেশ্য। কেন্দ্র সরকার চাইছে, গোটা বিষয়টা যেন ব্যাঙ্ক থেকে নগদ তোলার মতোই সহজ হয়। দাবি নিষ্পত্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষার প্রহর গুণতে না হয়।
advertisement
এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের তরফে জানানো হয়েছে, পিএফ অ্যাকাউন্টকে এটিএম-এনেবল সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এর ফলে রেজিস্টার্ড ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা তোলা যাবে। এটিএম লেনদেনের সময় সুরক্ষার জন্য মাল্টি ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করা হবে। রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে ওটিপি ভেরিফিকেশনও পাঠানো হতে পারে।
শুধু এটিএম থেকে নয়। কর্মীরা যাতে ইউনিফায়েড পেমেন্ট সিস্টেম বা ইউপিআই-এর মাধ্যমেও পিএফ-এর টাকা তুলতে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করছে ইপিএফও। এর জন্য PhonePe, Google Pay, Paytm এবং BHIM-এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কাজ চলছে। বর্তমানে বর্তমানে NEFT বা RTGS-এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগে। ইউপিআই-তে সেই কাজ তৎক্ষণাৎ হবে। নতুন ব্যবস্থায় প্রত্যেক কর্মীকে পিএফ উইথড্রয়াল কার্ড দেওয়া হবে। এটা সাধারণ ডেবিট কার্ডের মতোই কাজ করবে। এর মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা তোলা যাবে। সোজা কথায়, পিএফ উইথড্রয়াল কার্ড দিয়েই নির্ধারিত এটিএম থেকে সরাসরি পিএফের টাকা তুলতে পারবেন কর্মী।
জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে পিএফ অ্যাকাউন্টে মোট জমা টাকার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এটিএম থেকে তোলা যাবে। চলতি বছরেই এই নতুন সুবিধা চালু হতে পারে। ইপিএফও-এর সমস্ত সদস্য এবং নমিনিরা দাবি নিষ্পত্তির পর এটিএম থেকে সরাসরি টাকা তুলতে পারবেন। যদিও অনুমোদিত এটিএমের তালিকা এবং অন্যান্য বিশদ বিবরণ এখনও ঘোষণা করেনি ইপিএফও। তবে টাকা তোলার পুরো প্রক্রিয়াই সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।