আসলে প্রতি মাসেই বেতনের একটা অংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং ইপিএফও (EPFO) সেটি পরিচালনা করে। কর্মজীবন চলাকালীন নিয়মিত টাকা জমা হতে থাকে সেখানে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অবসর নেওয়ার আগেই যদি অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হয়ে যায়, তবে সে-ক্ষেত্রে ওই টাকা কে পাবেন? সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রভিডেন্ট অ্যাকাউন্টে মনোনীত ব্যক্তি বা নমিনিই ওই টাকা পাবেন। আর এই কারণেই ইপিএফও অ্যাকাউন্টধারীদের ই-নমিনেশন দাখিল (E-nomination Filing) করার জন্য রিমাইন্ডার দিতে থাকে। আসলে ই-নমিনেশন ফাইল করা থাকলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের মৃত্যুর পরে ওই টাকা সহজেই পেয়ে যান নমিনি। নিচে ধাপে ধাপে সহজ ভাবে নমিনেশনের প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দিয়েছে ইপিএফও।
advertisement
আরও পড়ুন: এখনই জেনে নিন কবে কবে যাবেন না ব্যাঙ্কে, ১২ দিনের বেশি বন্ধ থাকছে
ই-নমিনেশন (E-nomination) দাখিল করার উপায়:
প্রথমে ইপিএফও ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে ইউএএন (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর) এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করতে হবে। সার্ভিস ট্যাবে গিয়ে ‘ফর এমপ্লয়িজ’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এ-বার ম্যানেজ ট্যাব থেকে ‘ই-নমিনেশন’ অপশন বেছে নিতে হবে। এর পর সেখানে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে। ফ্যামিলি ডিক্লেয়ারেশনে পরিবর্তন করে ‘ইয়েস’ করতে হবে। ‘অ্যাড ফ্যামিলি ডিটেলস’ অপশনে গিয়ে ক্লিক করে নমিনির নাম দিতে হবে। এ-বার ছবি-সহ নমিনির বিষয়ে সমস্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। সেই তথ্য সেভ করে দিতে হবে। এর পর ‘প্রসিড’ অপশনে ক্লিক করে আধার নম্বর দিতে হবে। এ-বার মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে। আর সেই ওটিপি দিলেই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল পেনশন স্কিমের নিয়মে পরিবর্তন, এখন অ্যাকাউন্ট খুললেই মিলবে কমিশন!
ই-নমিনেশন ফাইল করার সুবিধা কী: ই-নমিনেশন দাখিল করার মাধ্যমে পিএফ অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমছে, সেই হিসেব তো জানা যাবেই। সেই সঙ্গে একাধিক অনলাইন সুবিধাও পাওয়া যাবে। আর একাধিক ব্যক্তিকে নমিনি করলে অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যুর পরেও তাঁর বাড়ির সদস্যরা আর্থিক দিক থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।
ইপিএফও-র সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ১৮.৩৬ লক্ষ নতুন গ্রাহক: মনে করা হচ্ছে যে, আমাদের দেশে সংগঠিত সেক্টরে কর্মসংস্থান পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ইপিএফও-এর সঙ্গে জুন মাসে ১৮.৩৬ লক্ষ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন, যা গত বছরের জুন মাসের গ্রাহকের সংখ্যার তুলনায় প্রায় ৪৩ শতাংশ বেশি। আর ইপিএফও-র সঙ্গে নতুন গ্রাহকদের যোগদানকে সংগঠিত সেক্টরে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার লক্ষণ বলে অনুমান করা হচ্ছে।