এখানেই শেষ নয়, আপাতত উর্জা গঙ্গা পাইপলাইন (Urja Ganga Pipeline) চালু হওয়ার পরে কোম্পানি মিথেন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ০.৮ মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড ছাড়িয়ে ১.০ স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক মিটারের (mmscmd) মানদণ্ড পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সংস্থা জানিয়েছে যে, তারা সিবিএম গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আগামী দশকে ভারতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। শুধু তাই নয়, আগামী দশকে ভারতের 'গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতি' হয়ে ওঠার দৃষ্টিভঙ্গিতেও অবদান রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
advertisement
আরও পড়ুন-সাবধান! সাধের আচারই পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্য ভাঙতে পারে, হয়ে উঠতে পারে বন্ধ্যাত্বেরও কারণ
ইওজিএলপিএল-এর সিইও এবং ডিরেক্টর পঙ্কজ কালরা (Pankaj Kalra) বলেছেন যে, ‘‘ভারতের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে গ্যাসের নিত্য চাহিদা বৃদ্ধি, সাধারণ দাম এবং ক্রমবর্ধমান আমদানির খরচ ইত্যাদি বিবেচনা করে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে ভারতের গার্হস্থ্য খাত থেকে শুরু করে অন্যান্য ক্ষেত্রে লাগাতার চাহিদা বৃদ্ধিকে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।’’
তিনি আরও বলেছেন যে, "গেইল এনএসই-তে (GAIL NSE) উর্জা গঙ্গা ট্রাঙ্ক লাইনের জন্য ০.৭২ শতাংশ উৎপাদনের অনিবার্য বিলম্ব আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। তবে আপাতত গ্যাস উৎপাদনকে দ্বিগুণ করতে এবং ০.৮ স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক মিটারের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার জন্য আমরা স্থিরপ্রতিজ্ঞ। বর্তমানে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত অ্যাপ্লিকেশন আমাদেরকে আবার আগের বর্ধিত উৎপাদনের ট্র্যাকে ফিরিয়ে এনেছে।"
ইওজিএলপিএল-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তাঁরা পরবর্তী সময়ে ১.০ স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক মিটারের সিবিএম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক।
আরও পড়ুন-লিঙ্গশৈথিল্যের মোক্ষম প্রতিকার, যৌনজীবনে ঝড় তুলবে স্রেফ একমুঠো বাদাম!
ভবিষ্যতের এই র্যাম্প-আপ প্রজেক্টটি নতুন প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি, ইনফরমেশন টেকনোলজি ও এরই পাশাপাশি পুরনো কূপগুলি মেরামতের মাধ্যমে আগের কর্মদক্ষতায় ফিরে যাওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর মধ্যে অনেকগুলি অ্যাপ্লিকেশন প্রজেক্ট ভারতে সিবিএম-এর ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করা হবে। বর্তমানে ইওজিইপিএল পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ অঞ্চলে পূর্ব সিবিএম ব্লকে নতুন প্রজেক্টে নিযুক্ত রয়েছে।
কোম্পানি মে ২০২১ থেকে ওই ব্লকে কাজ শুরু করেছে এবং এখন পর্যন্ত ইওজিইপিএল ওই ব্লকটিতে প্রায় ৩৫০টি কূপের ওপর কাজ করেছে।