ব্রেকফাস্টের দোকান কিংবা টেকওয়ে কাউন্টার:
খাবার ছাড়া মানুষ বাঁচবে কী করে! খাবারের চাহিদা তাই সব সময় তুঙ্গে। এই কারণেই ফুড কাউন্টার জনপ্রিয় ব্যবসা হতে পারে। বড় রেস্তোরাঁর দরকার নেই। ছোট করে শুরু করা যায়। কয়েকটা খাবার নিয়ে একটা স্টল, ব্যস। ভাল মান এবং সুস্বাদু খাবার হলে ব্যবসা দাঁড়াতে বেশি সময় লাগবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইল নম্বরে ১ সংখ্যাটি রয়েছে?এতেই লুকিয়ে রয়েছে ভাগ্যের চাবিকাঠি
জুস পয়েন্ট কিংবা শেক কর্নার:
মানুষ এখন স্বাস্থ্য সচেতন। তাই প্রিজারভেটিভ ছাড়া তাজা ফলের রস স্বাস্থ্যকর বিকল্প হয়ে উঠেছে। ভারতে ছোট ব্যবসার তালিকায় জুস পয়েন্ট বা শেক কর্নার তাই শীর্ষ স্থানে। লেবুর জল, বাটারমিল্ক, লস্যি ফলের জুস সব থাকবে।
টেইলারিং কিংবা এমব্রয়ডারি শপ:
বস্ত্র, জীবনের আরেকটি মৌলিক চাহিদা। স্টার্ট-আপ ব্যবসা হিসাবে তাই টেইলারিং এবং এমব্রয়ডারি বরাবর জনপ্রিয়। বড় শহরগুলিতে জামাকাপড় সেলাইয়ের চাহিদা বেশি। তাই সম্ভাবনাও অনেক। ছোট বুটিক আকারে শুরু করা যায়। চাহিদা বাড়লে ধীরে ধীরে ব্যবসাও বাড়বে।
আরও পড়ুন: ফিক্সড ডিপোজিটে সবচেয়ে বেশি সুদের হার দিচ্ছে কোন কোন ব্যাঙ্ক? দেখে নিন তালিকা!
অনলাইন ব্যবসা:
ইন্টারনেট দুনিয়া বদলে দিয়েছে। বদলে গেছে তথাকথিত ব্যবসার ধ্যান ধারণাও। এই আইডিয়া ছোট এবং মাঝারি ব্যবসার জন্য দুর্দান্ত। সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ, ইনফ্লুয়েন্সার, ইউটিউবার, এসইও এক্সপার্ট, ওয়েবসাইট ডিজাইনার এবং ডেভেলপারদের চাহিদা তুঙ্গে। এই বিষয়ে জ্ঞান থাকলেই হল। এই ধরনের ব্যবসার জন্য শুধু স্মার্টফোন, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন, ব্যস।
ব্লগিং বা ভ্লগিং:
ভালো লেখার ক্ষমতা থাকলে ব্লগিং আদর্শ। আর ভিডিও তুলতে পারলে ভ্লগিং। ইদানীং অনেক স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান, পারফর্মেন্স আর্টিস্ট তো বটেই অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রীও ভ্লগিং-এ হাত পাকাচ্ছেন। এখানে আকর্ষণীয় বিষয়বস্তুর মাধ্যমে ব্লগ বা ভ্লগের দর্শক বা পাঠক সংখ্যা বাড়ানোই লক্ষ্য। এর উপরই অর্থ প্রদান করা হয়।
ডে কেয়ার সার্ভিস কিংবা বেবি সিটার:
বর্তমানে মেয়েরাও পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। তাই কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে কেয়ার পরিষেবাগুলির চাহিদা বাড়বে। অদূর ভবিষ্যতে একটি পূর্ণ-সময়ের পেশা হিসাবে, ডে-কেয়ার পরিষেবা, ক্রেশ এবং এমনকী বেবিসিটিংয়ের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বড় শহরে যেখানে চাকরিজীবী মহিলা এবং ছোট পরিবার বেশি।
নাচের ক্লাস:
ভাল নৃত্যশিল্পী বা কোরিওগ্রাফার হলে সহজেই নিজের ডান্স ক্লাস শুরু করা যায়। নিজের বাড়িতে জায়গা থাকলে তো কথাই নেই, ঘর ভাড়াও নেওয়া যায়। অবশ্য ডান্স ক্লাস খোলার জন্য ভাল নাচ জানতেই হবে তার কোনও কথা নেই। কোরিওগ্রাফার বা নৃত্যশিক্ষক রেখেও নাচের ক্লাস চালানো যায়। দরকার শুধু জায়গা এবং প্রচার।
ফোটোগ্রাফি:
কখনও কখনও শখ অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। শুধু দরকার অতিরিক্ত সময়। ফোটোগ্রাফি সেই শখগুলির একটি যা অনেকর কাছে একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। ক্যামেরা এবং লেন্স যত ভালো হবে, ছবি হবে তত ভালো। তবে দক্ষতাও প্রয়োজন। সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান।