এটা একটা দারুণ বিকল্প হতে পারে। কারণ এই গাছ দেখভাল করতে খরচও তেমন হয় না। পাশাপাশি কম জল এবং কম পরিশ্রমেই সেগুন গাছের চাষ করে প্রচুর আয় করা সম্ভব। তবে সেগুন গাছ থেকে আয় করার জন্য কমপক্ষে অপেক্ষা করতে হবে ১২ বছর। আর মজার বিষয় হচ্ছে, ১২ বছর পরে এক একর জমিতে চাষ করা সেগুন গাছ করে দিতে পারে কোটিপতি।
advertisement
আসলে বাজারে সেগুন কাঠের চাহিদা খুব বেশি। আর ভারতে বর্তমানে সেগুন কাঠের মোট চাহিদার সাপেক্ষে পাওয়া যায় মাত্র ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন - Paschim Medinipur News: ‘‘আল্লা মেঘ দে পানি দে’’ কাতর আর্তিতে শান্তি, প্রবল বৃষ্টি, চাষীরা স্বস্তিতে
একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরে ভারতে সেগুন কাঠের প্রয়োজন হয় ১৮০ কোটি ঘনফুট, যেখানে বছরে সেগুন কাঠ পাওয়া যায় মাত্র ৯ কোটি ঘনফুট। ফলে এই চাষ থেকে কতটা মুনাফা অর্জন করা সম্ভব, সেই ধারণাটা নিশ্চয়ই পাওয়া যাচ্ছে। সেগুন গাছের কাঠ তো দামী, সেটা আমরা সকলেই জানি। এর পাশাপাশি সেগুন গাছের ছাল এবং পাতার থেকে ওষুধও তৈরি করা যাহয়। প্লাইউড জাহাজ, রেলওয়ের কোচ এবং অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরি করতে সেগুন কাঠ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সেগুন গাছের চাষ কীভাবে করতে হয়?
সেগুন গাছের চারা তৈরি করতে বিশেষ কোনও মাটির প্রয়োজন হয় না। দো-আঁশ মাটিতে সেগুন গাছ ভালো হয়। তবে জল জমে যায়, এমন জায়গায় সেগুন গাছ লাগানো উচিত নয়। জল জমে যাওয়ার কারণে সেগুন গাছ মরে যেতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সেগুন গাছ ভালো থাকে। সাধারণত ১৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই গাছ ভালো ভাবে বেড়ে উঠতে পারে। আর বর্ষা শুরু হওয়ার ঠিক আগেই এই গাছের চারা রোপণ করা উচিত। কারণ এটাই গাছ রোপণের আদর্শ সময়।
সেগুন গাছের চাষ করতে কত খরচ হয়?
সেগুন গাছের দাম সাধারণত একটু বেশিই হয়ে থাকে, কিন্তু কেউ যদি বীজ থেকে চারা তৈরি করে রোপণ করেন, তবে তা অনেক সস্তায় হয়ে যায়। জমিতে রোপণ করার জন্য সেগুন গাছের বয়স হতে হয় কমপক্ষে ১৮ মাস। এই কারণে অধিকাংশ কৃষক বীজ থেকে চারা তৈরি না-করে নার্সারি থেকে চারা কিনে লাগান। একটি ভালো জাতের সেগুন গাছের দাম হতে পারে প্রায় ৬০ টাকা। এক একর জমিতে অন্তত ৪০০টি সেগুন গাছ লাগানো যেতে পারে।