এই নিয়মের উপর খুবই জোর দেওয়া হয়েছে৷ যদি গাড়িতে বৈধ দূষণ সার্টিফিকেট (Pollution Certificate) না থাকে, তাহলে আপনাকে ৬ মাসের জেল অথবা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা দুই-ই হতে পারে। পলিউশন সার্টিফিকেট ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের জন্য বাতিল হয়ে যাবে। ফলে ৩ মাসের জন্য গাড়িও চালানো যাবে না৷
advertisement
আরও পড়ুন মাত্র ১ লক্ষ টাকায় শুরু করুন ব্যবসা, কোটিপতি হবেন কয়েকদিনেই
দিল্লি-এনসিআরের বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে তাদের গাড়ির PUC চেক করার আবেদন জানিয়েছে দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। যানবাহনের বৈধ দূষণ সার্টিফিকেট নিয়ে রাস্তায় নামতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
এটি লক্ষণীয় যে দিল্লি সরকার সম্প্রতি পরিবহণ বিষয়ে বেশিরভাগ পরিষেবাকে অনলাইন করছে। এর মাধ্যমে আরটিওতে দুর্নীতির অবসান ঘটানো এবং মানুষ ঘরে বসে সহজেই অনেক সুবিধা করে দিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে দিল্লি সরকার। দিল্লিতে এমন ব্যবস্থার পর পরিবহণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যে কোনও কাজই বাড়িতে বসে করা সম্ভব হচ্ছে৷ ফলে অফিসগুলিতেও অযথা ভিড় কম হচ্ছে৷ লোকেরা ঘরে বসে বেশিরভাগ কাজ করতে পারছেন।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকও ক্রমাগত ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং এর সাথে সম্পর্কিত সমস্ত পরিষেবা অনলাইনে করার চেষ্টা করছে। করোনা সময়ে পরিবহণ বিভাগের বেশিরভাগ পরিষেবা অনলাইনে শুরু হয়েছে। অনেক রাজ্য ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ যানবাহনের আরসি এবং দূষণ শংসাপত্র সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ অনলাইনে শুরু হয়েছে। এখন ড্রাইভিং লাইসেন্সের (Driving License) জন্য অনলাইন মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও তৈরি হচ্ছে।
দিল্লিসহ দেশের অনেক রাজ্যের আরটিও -র (RTO) কাজ আগের চেয়ে সহজ হয়েছে। পরিবহণ বিভাগ ক্রমাগত চেষ্টা করছে যে লাইসেন্স রিনিউয়াল, ডুপ্লিকেট লাইসেন্স, ঠিকানা পরিবর্তন এবং আরসি তৈরির জন্য সাধারণ মানুষকে পরিবহণ অফিসে যাতে না হয়। মানুষ ঘরে বসে এই নথিগুলি আপলোড করার সুবিধা পাবে। আরটিওতে আসতে হবে শুধুমাত্র ড্রাইভিং টেস্ট এবং ফিটনেসের জন্য।