ক্রেডিট স্কোর কী: একজন ব্যক্তি ঋণ পাওয়ার যোগ্য কি না, তা ক্রেডিট স্কোর বলে দেয়। এটা ৩০০ থেকে ৯০০-এর মধ্যে থাকে। সাধারণত যাঁর ক্রেডিট স্কোর যত বেশি তিনি তত সহজে ঋন পান। ক্রেডিট স্কোর ব্যুরো থেকে যে কেউ নিজের ক্রেডিট স্কোর দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন : এই শীতে সহজে স্ট্রবেরি চাষ করুন বাড়ির ছাদ বাগানে, সহজেই হবে মোটা টাকা আয়
advertisement
ব্যুরো বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং তার ভিত্তিতে ক্রেডিট স্কোর তৈরি করে। ভারতে চারিটি কোম্পানি ক্রেডিট স্কোর পরিষেবা দেয়। সেগুলি হল – CRIF হাই মার্ক ক্রেডিট ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ইকুইফ্যাক্স ক্রেডিট ইনফরমেশন সার্ভিসেস, ট্রান্সইউন সিবিল এবং এক্সপেরিয়ান ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানি অফ ইন্ডিয়া।
জয়েন্ট ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট: যখন কোনও দম্পতি যৌথভাবে লোন নেন বা জয়েন্ট ক্রেডিট অ্যাকাউন্ট খোলেন, তখন ঋণ পরিশোধের দায়ও দু’জনের উপর সমানভাবে বর্তায়। অ্যাথেনা ক্রেড এক্সপার্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং ক্রেডিট বিশেষজ্ঞ সতীশ মেহতা বলেন, “যখন কোনও দম্পতি একসঙ্গে ঋণের আবেদন করেন, তখন দু’জনেরই ক্রেডিট স্কোর দেখা হয়।”
আরও পড়ুন : এভাবে আর টাকা তুলতে পারবেন না গ্রাহকরা ! বদলে গেল ATM থেকে টাকা তোলার নিয়ম
কোনও একজনের ক্রেডিট স্কোর কম থাকলে সুদের হার বাড়তে পারে। এমনকী ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। দু’জনেরই ভাল ক্রেডিট স্কোর থাকলে কম সুদের হারে ঋণ পাওয়া যায়। ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। আবার ডিজিটাল লেন্ডিং কনসালট্যান্ট পারিজাত গর্গ বলছেন, যদি দুজনের একজন ঋণের ৬০ শতাংশ পরিশোধ করেন, তাহলে তাঁর ক্রেডিট স্কোর ভাল হবে। অন্যজনের কমবে।
ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত: সমস্ত ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া ব্যালেন্সকে মোট ক্রেডিট সীমা দিয়ে ভাগ করে ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাত নির্ধারণ করা হয়। যৌথ ক্রেডিট অ্যাকাউন্টে এরও প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই অনুপাত যত কম হবে তত ভাল। কিন্তু একজনের ভাল থাকলেও সঙ্গীর অনুপাত বেশি হলে মোট ক্রেডিট ব্যবহারের অনুপাতে তার প্রভাব পড়তে পারে।
ক্রেডিট এনকোয়ারি: দম্পতিরা যখন যৌথ ক্রেডিটের আবেদন করেন, তখন ঋণদাতা দু’জনেরই ক্রেডিট স্কোর যাচাই করে দেখে। এর ফলে সাময়িকভাবে উভয়ের ক্রেডিট স্কোর হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।