অনেক ধরনের আম খেতে অভ্যস্ত এদেশের মানুষ। তার মধ্যে লখনউয়ের মালিহাবাদের আম খুবই বিখ্যাত। যেমন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে মালদার আম। কিন্তু আমের স্বাদে যদি বৈচিত্র্য পাওয়ার বাসনা থেকে থাকে, তাহলে চলে যাওয়া যেতে পারে বারাবাঁকিতে।
আরও পড়ুন: কত রকমের প্যান কার্ড হয় জানেন? কোনটার কী ব্যবহার দেখে নিন!
উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি জেলায় দশেরি এবং চৌসা আমের খ্যাতি প্রচুর। দশেরি, ল্যাংড়া, চৌসা এবং আরও অনেক প্রজাতি আম যেমন লখনউ সফেদা, সুরখা, হুসনাহারা, গোলাপখাস, আম্রপালি, ইয়াকুতির জন্ম হয় বারাবাঁকিতে। এর মধ্যে সব থেকে সুস্বাদু দশেরি।
advertisement
দশেরির বাজার চাহিদা বেশি হলেও কম যায় না ইয়াকুতিও। ইয়াকুতি আমের মিষ্টত্ব একে বিখ্যাত করে তোলে। বাজারে এর দাম প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকায় পৌঁছে যায় কোনও কোনও বছর।
আরও পড়ুন: সমবায় ব্যাঙ্কগুলির উপর নেমে আসছে RBI-এর শাস্তির খাঁড়া, যে ব্যাঙ্কগুলির লাইসেন্স বাতিল হয়েছে!
এই বছর আমের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই চলতি মরশুমে কৃষকদের ভাল লাভও হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও বারাবাঁকির আম নিয়ে একটা পক্ষপাত রয়েছে। তাঁরা এখানকার আমকেই বেশি প্রাধান্য দিতে চান। জেলায় প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয় এবং জুলাই মাস পর্যন্ত আম থাকে।
জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১.৫ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছে। লখনউ, গোন্ডা, বাহরাইচ, ফৈজাবাদ, গোরখপুরের মতো বড় বাজারগুলিতে সেই আম বিক্রিও হয়েছে দেদার।
তবে পিছিয়ে নেই মালিহাবাদের আমও। ব্যবসায়ী মহম্মদ আরিফ জানান, বারাবাঁকিতে আরও নানা জাতের আম রয়েছে। মালিহাবাদের আমের সঙ্গে চলছে জোর প্রতিযোগিতাও। আরিফ জানান, বারাবাঁকিতে বহু জাতের আম উৎপাদন হয়। এখানে থাইল্যান্ডের কিছু জাতের আমও উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ওই জাতের বাগানও শীঘ্রই করা হবে বলে মনে করছেন তিনি। রফতানি থেকেও ভাল আয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।