সাধ্যের মধ্যেই ‘স্বাদ’ পূরণ। কম্বো স্ন্যাক্সের একটি প্লেটে কী কী থাকে জানেন, দু’পিস চিকেন কষা, একটি ব্রেড চপ, এক প্লেট ঘুগনি ও চাটনি-সহ স্যালাড, যার দাম মাত্র ২৫ টাকা। দোকান খুলতেই মাত্র দু’ঘন্টায় শেষ হয়ে যায় দোকানের সমস্ত আইটেম। আর ওই দু’ঘণ্টায় আনন্দ দা ও তাঁর সহোযোগির ব্যস্ততা থাকে চরমে। তাঁদের দাবি, ওই এলাকার কঠোর পরিশ্রমী মানুষ তথা দোকানের ক্রেতাদের একটি পেট ভরা খাবার হল ওই কম্বো স্ন্যাক্স। যদিও এলাকা ছাড়াও দুর্গাপুর শহরের ও দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বহু খাদ্যপ্রেমী মানুষও ওই স্বল্প সময়েই এসে ভিড় করেন আনন্দ দার দোকানে। মুখে একরাশ হাসি নিয়ে উনুনের আগুনের তাপ ও গরম তেলের ভাপকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের পরিষেবা দিয়ে যান প্রতি মূহুর্তে।
advertisement
আনন্দ দার ইভিনিং স্ন্যাকসের দোকানটি রয়েছে দুর্গাপুর এক নম্বর ওয়ার্ডের পারুলিয়া এলাকার মোড়ের মাথায়। ২০ -২১ বছর ধরে তিনি এই দোকান করছেন। প্রথম থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল এলাকার খাদ্যরসিক মানুষ, তথা তাঁর ক্রেতাদের খাইয়ে তৃপ্তি দেওয়া। কত টাকায় কী কী মেলে? আনন্দ দার ইভিনিং স্ন্যাকসের দোকানে আনন্দ দা প্রতিদিন প্রায় ৩০ কেজি চিকেন কেনেন, দু-চার রকমের সুস্বাদু খাবারের পদ বানাতে। প্রায় ১৪ কেজি বোনলেস চিকেনের চিকেন পকোড়া তৈরি করেন, এখানে ছ’পিস চিকেন পোকোড়ার মূল্য ৪০ টাকা। আর ১৫-১৬ কেজি চিকেনের তৈরি করেন চিকেন কষা। ব্রেড চপ তৈরি হয় প্রায় দেড়শো পিস পাউরুটির, রয়েছে ১০ কেজি মটরের ঘুগনি। ৫০-এর অধিক ডিম সেদ্ধ, তৈরি করেন আলুর চপও। এই তিন-চার রকমের আইটেম হুহু করে কয়েক ঘণ্টায় উধাও হয়ে যায়, মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় হাজারেরও অধিক টাকা রোজগার হয় এই ব্যবসায়।