গোল্ড ইটিএফ আসলে গোল্ড বুলিয়নে বিনিয়োগ করে। এই বুলিয়ন লগ্নি সোনার গয়না কেনার মতোই নিরাপদ। এই ক্ষেত্রে গ্রাহক হাতে সোনা পাবেন না, পরিবর্তে তাঁর একটি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট থাকবে। গোল্ড ইটিএফ-এর প্রত্যেকটি ইউনিট খাঁটি সোনার মতোই হয়। অন্যান্য ইটিএফ-এর মতোই গোল্ড ইটিএফ স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং করে।
গোল্ড ইটিএফ-এর বৈশিষ্ট্য:
advertisement
১. বিনিয়োগকারীরা গোল্ড ইটিএফ-এ মাত্র ৪৫ টাকা দিয়েই বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন, যা আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল গোল্ড ইটিএফ-এর এক ইউনিটের মূল্যের সমান। (২০২২ সালের ২০ অক্টোবর অনুযায়ী)। ফলে এক জন বিনিয়োগকারীকে সোনায় বিনিয়োগ করতে বড় অঙ্কের অর্থ জমা করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না, যা প্রায়শই শারীরিক সোনা কেনার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
২. সোনার গয়নার মূল্য, মজুরি, নিরাপত্তা এবং বিমার খরচের তুলনার গোল্ড ইটিএফ-এর খরচ অনেক কম।
৩. গোল্ড ইটিএফ-এর ক্ষেত্রে ৯৯.৫ শতাংশ বা তারও বেশি খাঁটি সোনায় বিনিয়োগ করা হয়।
৪. সোনার গয়নার তুলনায় গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগের খরচ অনেক কম। গয়না কিনতে গেলে এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করার পাশাপাশি মজুরি প্রদান করতে হয়, যেখানে গোল্ড ইটিএফ-এর ক্ষেত্রে মাত্র ৪৫ টাকা দিয়েও বিনিয়োগ শুরু করা যায়।
৫. গোল্ড ইটিএফ-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল লিক্যুইডিটি। বিনিয়োগকারী যে কোনও সময় এক ইউনিট থেকে শুরু করে নিজের সমস্ত ইউনিটগুলি বিক্রি করতে পারবেন। পরিবর্তে তাঁকে ন্যায্য মূল্য বা রিয়েল টাইম এনএভি (নেট অ্যাসেট ভ্যালু) অনুযায়ী মূল্য দেওয়া হবে। অন্য দিকে, সোনার গয়নার ক্ষেত্রে আংশিক বিক্রয়ের সুবিধা নেই।
৬. ইটিএফ লোনের ক্ষেত্রে কোল্যাটেরাল হিসেবে গণ্য করা হয়।
৭. গোল্ড ইটিএফে বিনিয়োগ ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখলে লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন হিসেবে কর ছাড়ের মতো সুবিধা পাওয়া যাবে।
এসআইপি-এর মাধ্যমে বিনিয়োগ:
বিনিয়োগকারী সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি-র মাধ্যমেও গোল্ড ইটিএফ-এ লগ্নি করতে পারবেন। যাঁরা এককালীন বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন না, তাঁদের জন্য এই সুবিধা খুবই লাভজনক হতে পারে। ফলে ক্রেতাকে এর বিশুদ্ধতা, সংরক্ষণ করার সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। তাই এই উৎসবের মরসুমে গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করার মাধ্যমে নিজের বিনিয়োগেও আনতে পারেন ঔজ্জ্বল্য।