বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি আর্থিক বর্ষে কোম্পানি থেকে প্রাপ্ত ৫০০০ টাকা বা তার কম মূল্যের বোনাস বা ভাউচারের উপর কোনও রকম কর প্রদান করতে হবে না। তবে ৫০০০ টাকার বেশি মূল্যের বোনাস বা ভাউচারকে আয় হিসেবে ধরা হবে এবং আয়কর জমা দেওয়ার সময় এটির উপরেও ট্যাক্স ধার্য করা হবে।
আবার ধরা যাক, যদি কোনও ব্যক্তি দীপাবলিতে ৫০০০ টাকা বোনাস পেয়েছেন এবং বড় দিন উপলক্ষে আবার তিনি ৩০০০ টাকা বোনাস হিসেবে উপহার পেয়েছেন। তবে তাঁকে ওই ৩০০০ টাকা মূল্যের উপর কর প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ, প্রথম ৫০০০ টাকার উপর কোনও রকম কর ধার্য হবে না। তবে তার বেশি মূল্য হয়ে গেলেই তা কর যোগ্য হিসেবে গণ্য হবে। যে সমস্ত কর্মীরা উপহারের জায়গায় বোনাস হিসেবে টাকা কিংবা ভাউচার পান, তাঁদের ওই বোনাসের মূল্যের উপর কর দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন :
ধনতেরাস উপলক্ষে মাত্র ৪৫ টাকা দিয়ে সোনা কেনার সুযোগ রয়েছে! জেনে নিন এর সেরা উপায়!
যদি কোনও ব্যক্তি বন্ধুর কাছ থেকেই উপহার পান, তবে তার উপরেও কিন্তু ধার্য করা হবে কর। ধরা যাক, যদি কোনও একটি আর্থিক বর্ষে এক জন ব্যক্তির প্রাপ্ত সমস্ত উপহারের মোট মূল্য ৫০০০০ টাকা বা তার বেশি হয়, তবে ভারতীয় আয়কর আইন ৫৬(২)-এর অধীনে তাকে ওই মূল্যের উপরে কর প্রদান করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সমস্ত উপহারের উপরেই কর ধার্য করা হবে। এমনকী উপহার হিসেবে প্রাপ্ত জমি অথবা বাড়ির উপরেও কর ধার্য করে ভারত সরকার। উপহারে পাওয়া বাড়ি বা জমির মূল্য ৫০০০০ টাকার বেশি হলেই আয়কর আইন ৫৬(২)-এর অধীনে কর দিতে হবে।
আরও পড়ুন : সোনা ভাড়া দিয়ে এ-বার ঘরে বসেই হবে আয়! রইল এর পদ্ধতি ও ঝুঁকি-সহ সমস্ত খুঁটিনাটি!
এক জন ব্যক্তি যে ট্যাক্স স্ল্যাবের মধ্যে পড়েন, তাঁকে উপহারের উপর সংশ্লিষ্ট ট্যাক্স স্ল্যাবের হিসাবেই কর প্রদান করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও ব্যক্তি ৩০ শতাংশ হারে কর প্রদান করেন, তবে তাঁকে উপহারের উপরেও ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে।