১) সোনা -বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে, সোনা সমৃদ্ধি এবং সম্পদের সঙ্গে জড়িত। এটি ধনতেরসের জন্য একটি প্রথাগত বিকল্প এবং বিনিয়োগ করার একটি স্মার্ট পদক্ষেপ হতে পারে। এর জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে – গোল্ড বন্ড এবং গোল্ড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড। এছাড়া, কয়েন বা গহনার মতো ক্ষেত্রে সোনা বেছে নেওয়ার ধ্রুপদী প্রথা তো রয়েছেই।
advertisement
২) ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড – এই বিনিয়োগ টেকসই মূলধন বৃদ্ধির সুযোগ প্রদান করে। ইনডেক্স ফান্ড, লার্জ-ক্যাপ ফান্ড বা বৈচিত্র্যপূর্ণ ইক্যুইটি ফান্ড বেছে নিয়ে সচেতন বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিলে, সম্পদ বাড়ানোর জন্য স্টক মার্কেট একটি কার্যকর হাতিয়ার হতে পারে। তাই ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে, যদি কারও দীর্ঘ সময় হাতে থাকে এবং বাজারের ওঠানামা সহ্য করার জন্য তিনি প্রস্তুত থাকেন।
৩) ফিক্সড ডিপোজিট – এই নির্ভরযোগ্য বিকল্পগুলি ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসগুলিতে একটি নিরাপদ এবং স্থির বিনিয়োগের বিকল্প খুঁজছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য। একটি নির্দিষ্ট সুদের হার সহ এই বিনিয়োগগুলি নিরাপত্তা প্রদান করে এবং যে কারও আর্থিক পোর্টফোলিওতে একটি মূল্যবান সংযোজন হতে পারে। তাই এই ধনতেরসে ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে নিজেদের বিনিয়োগগুলি সুরক্ষিত করার বিষয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।
৪) পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড – বিনিয়োগের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত বিকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। এটি একটি সরকার-সমর্থিত সঞ্চয় প্রকল্প। ১৫ বছরের লক-ইন পিরিয়ডের সঙ্গে PPF আকর্ষণীয় রিটার্ন এবং নিরাপত্তা উভয়ই অফার করে। এটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ তৈরির জন্য একটি সেরা বিকল্প, কারণ এটি আয়কর আইনের ধারা ৮০সি এর অধীনে কর সুবিধা প্রদান করে এবং করমুক্ত সুদ ও ম্যাচিওর পরিমাণের গ্যারান্টি দেয়।
৫) সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান – মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপি সম্পদ তৈরির জন্য একটি পদ্ধতিগত কৌশল অফার করে। যা ঘন ঘন এবং অল্প পরিমাণে বিনিয়োগ করতে সক্ষম করে। SIP বাজারের অস্থিরতার প্রভাব কমাতে সাহায্য করে, যখন বাজারের ওঠানামা একত্রে ব্যবহার করা হয়। এই কৌশলটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদ সংগ্রহ করতে চাওয়া লোকদের জন্য ভাল কাজ করে। এসআইপিগুলি মূলত সমস্ত বাজার চক্রে অংশগ্রহণের উপায় প্রদান করে ক্রয় মূল্যের গড় ব্যয়কে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন, লাখ-লাখ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জন্য বিরাট খবর, তৈরি হল গাইডলাইন! বদলে গেল নিয়ম
আরও পড়ুন, সিনিয়র-জুনিয়র নয়, দলীয় কর্মীদের জন্য অন্য ‘স্ট্র্যাটেজি’ অভিষেকের! বিজয়া সম্মিলনীতে বার্তা
৬) রিয়েল এস্টেট – রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করা লাভজনক হতে পারে, যদি কারও সম্পদ এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। আবাসিক এবং বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেটের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ভাড়া থেকেও আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত একটি বড় প্রাথমিক ব্যয়ের প্রয়োজন হওয়া সত্ত্বেও, রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধি এবং আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করতে পারে।
ধনতেরস হল আর্থিক সমৃদ্ধির দিকে একটি পদক্ষেপ নেওয়ার উপযুক্ত সময়। এই বিনিয়োগ বিকল্পগুলির প্রত্যেকটি নিজস্ব সুবিধা এবং বিবেচনার নিজস্ব অনন্য উপায় বহন করে। তাই প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে যে, ২০২৩ সালের ধনতেরসে কোন বিনিয়োগ নিজেদের অনন্য আর্থিক পছন্দ এবং আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।