রোজই নতুন রেকর্ড গড়ছে পেটিএম-এর মতো ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম’।নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই জনপ্রিয় হচ্ছিল মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক লেনদেন। ব্যাঙ্ক-এটিএম খুললেও সেগুলি থেকে নোট মিলছে চাহিদার তুলনায় কম। ফলে এই সব মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহারের প্রবণতা আরও বাড়ছে। এছাড়া অনলাইনে জিনিস কেনাকাটা থেকে শুরু করে ওলা-উবেরের মতো ক্যাব পরিষেবাতেও ‘ওলা মানি’ বা পেটিএম ব্যবহার এখন বাড়ছে মানুষের ৷ কারণ একটাই, হাতে যে টাকা নেই ৷ এভাবে চলতে থাকলে তো না খেয়ে থাকতে হবে, বা হেঁটে কলেজ-অফিস যেতে হবে ৷
advertisement
পেটিএম যে এখন দারুণ লাভের মুখ দেখছে, সেটা সংস্থার পক্ষ থেকেই স্বীকার করা হয়েছে ৷ প্লেস্টোরে বা আই ফোনে পেটিএম অ্যাপ ডাউনলোডের পরিমাণ বেড়েছে ৩০০ শতাংশ ৷ এছাড়া এই মোবাইল অ্যাপে টাকা রাখার পরিমাণ প্রায় ৫০০ গুণেরও বেশি ৷ মানুষের পেটিএমে টাকা রাখার অঙ্কটাও বেড়ে গিয়েছে এখন ১০ গুণ !দু’দিনে ১০ লক্ষ নতুন কার্ডের তথ্য ভরা হয়েছে। সব ধরনের লেনদেন ধরলে তা গড় হারের চেয়ে বেড়েছে তিন গুণ। আর টাকা মেটানো বেড়েছে পাঁচ গুণ। গড়ে এত দিন যত টাকার লেনদেন হত, এখন তা ২০০% বেড়েছে। মানুষ বর্তমানে এমনিতেই ‘প্লাস্টিক মানি’-র উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল ৷ সম্প্রতি এটিএমে এবং নেট ব্যাঙ্কিংয়ে জালিয়াতি ধরা পড়ায় অনেকেই এভাবে অ্যাপ নির্ভর ‘মানি ট্রান্স্যাকশন ’-এ ভয় পাচ্ছিলেন ৷ কিন্তু এখন আর কোনও উপায় নেই ৷ ব্যাঙ্কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা তোলার চেয়ে, অন্তত অ্যাপ ডাউনলোড করে সেখানে টাকা রাখাটাই ঠিক মনে করছেন শহরবাসী ৷