প্রতি বছরই ভারতের ১০০০ মোস্ট ডিজায়ার্ড ব্র্যান্ডস-এর একটি রিপোর্ট তালিকা প্রকাশ করে টিআরএ। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দেশের মোট ১৬টি শহরে প্রায় ২৫০৯টি কনজিউমার-ইনফ্লুয়েন্সারদের নিয়ে একটা ফেস-টু-ফেস রিসার্চ করেছে তারা। অবশেষে সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই তৈরি করা হয়েছে এই বছরের রিপোর্ট তালিকা। সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন- শ্যুটিংয়ের ফাঁকে কবিতা লিখতেন সৃজলা; প্রেম আর বিরহের বুননে প্রকাশিত মন ফাগুনের পিহুর বই
advertisement
টিআরএ-র ওই তালিকায় রয়েছে আরও নানা চমক। ভারতের মোস্ট ডিজায়ার্ড ব্র্যান্ড ২০২২-এর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এমআই। এই সংস্থা দ্বিতীয় বছরেও নিজেদের স্থান ধরে রাখল। ফলে গ্য়াজেটরি সুপার ক্যাটাগরি এবং মোবাইল ক্যাটাগরিতে এমআই সংস্থাই শীর্ষে রয়েছে। তবে টিআরএ মোস্ট ডিজায়ার্ড ব্র্যান্ড ২০২২-এর তালিকায় পাঁচ ধাপ এগিয়েছে স্যামসাং মোবাইল ফোনস। তারা এই বছরে তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু স্যামসাং-ই নয়, এগিয়ে এসেছে বিএমডব্লিউ-ও। এই সংস্থা প্রায় ১৪ ধাপ এগিয়ে মারুতি সুজুকিকে পিছনে ফেলে দিয়ে উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে। প্রসঙ্গত, এত দিন অটোমোবাইল সুপার ক্যাটাগরিতে শীর্ষ দখল করে রেখেছিল মারুতি সুজুকি। এ-বার সেই স্থানই ছিনিয়ে নিয়েছে বিএমডব্লিউ। এ-ছাড়াও টিআরএ-র ওই বার্ষিক তালিকায় ১৮ ধাপ এগিয়ে পঞ্চম স্থানে চলে এল টাইটান।
চলতি বছরে ১২৭ বছরের পুরনো সংস্থা বাটা-র পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা ২৩ ধাপ এগিয়ে মোস্ট ডিজায়ার্ড ব্র্যান্ডের তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। আর ওই তালিকায় সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে এলজি টেলিভিশনস। ফলে কনজিউমার ইলেকট্রনিকস সুপার ক্যাটাগরি এবং টেলিভিশন ক্যাটাগরিতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ওই সংস্থা। চলতি বছর দারুন উত্থান দেখা গিয়েছে হিউলেট প্যাকার্ড ল্যাপটপস-এর ক্ষেত্রেও। এগারো ধাপ এগিয়ে তা ওই তালিকায় অষ্টম স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে। আর নবম স্থানে রয়েছে সোনি টেলিভিশনস। এ-ছাড়াও সম্প্রতি আইপিও-তে গিয়েছে এলআইসি। আর ওই সংস্থার ক্ষেত্রেও কুড়ি ধাপের দুর্দান্ত উত্থান দেখা গিয়েছে। এই বছরের মোস্ট ডিজায়ার্ড ব্র্যান্ডের তালিকায় দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
ওই তালিকায় এগারোতম স্থানে রয়েছে স্যামসাং টেলিভিশনস। আর দ্বাদশ স্থান অধিকার করেছে লেনোভো। ফলে ল্যাপটপ প্রস্তুতকারী ওই সংস্থা বর্তমানে তৃতীয় মোস্ট ডিজায়ার্ড ল্যাপটপ ব্র্যান্ড। তবে গত বারের তুলনায় পতন দেখা গিয়েছে অ্যাপল আইফোনের ক্ষেত্রে। আট ধাপ পিছিয়ে আপাতত ১৩-তম স্থানে ঠাঁই হয়েছে ওই সংস্থার। চতুর্দশতম স্থানে রয়েছে অ্যামাজন। তবে এ-ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উত্থান দেখা গিয়েছে ফেসবুক সংস্থার। কারণ পঞ্চান্ন ধাপ এগিয়ে তা ১৫-তম স্থান দখল করেছে। ১৬, ১৭, ১৮-তম স্থান দখল করেছে যথাক্রমে ফগ, ওপ্পো মোবাইল ফোনস, এলজি রেফ্রিজরেটরস। আর ১৯ এবং ২০-তম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে টয়োটা এবং ল্যাকমে।
টিআরএ রিসার্চ-এর সিইও এন. চন্দ্রমৌলি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কোভিডের দুই বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাহকদেরও পছন্দ এবং দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গিয়েছে। আর গ্রাহকদের পছন্দটাই এ-ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর সেখানে কিছু সংস্থা কোভিড পরিস্থিতিতেও গ্রাহকদের সঙ্গে নতুন ভাবে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।