বাঁধাকপির উন্নত জাতের মধ্যে রয়েছে গোল্ডেন একর, পুসা মুক্ত, কে-ভি, প্রাইড অফ ইন্ডিয়া, গ্রিন,গঙ্গা, শ্রীগণেশ গোল, হরিয়ানা। এগুলো সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে প্রতি একরে ৭৫-৮০ কুইন্টাল ফলন হয়। কৃষিবিদ প্রতাপচন্দ্র পাল এই প্রসঙ্গে বলেন, এগুলোর মধ্যে বাঁধাকপির যেকোনও ভাল জাতের চারা এনে জমিতে বপন করতে হবে। এই বাঁধাকপি লাগানোর আদর্শ সময় কার্তিক-আগ্রহায়ণ মাস। ফসল লাগানোর ৬ মাস পরই তা পরিপূর্ণভাবে তুলে নেওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: আদিবাসী শিশুদের মাঝে জন্মদিন উদযাপন বাঁকুড়ার খুদের
তবে এইবাঁধাকপি চাষের ক্ষত্রে মনে রাখতে হবে জমিতে যেন বেশি সময় ধরে জল জমে না থাকে।অতি বৃষ্টির কারণে জমিতে জল বেশি জমে গেলে তাড়াতাড়ি জল সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বাঁধাকপির চারা বপনের ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাঁধাকপির চারা প্রথমে বীজতলায় উৎপাদন করতে হয় এবং পরবর্তী সময়ে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার জন্য বালি, মাটি ও জৈবসার ভালভাবে মিশিয়ে ঝুরোঝুরো করে নিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়। এই বাঁধাকপি চাষে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ যেমন বজায় থাকে তেমনই পরিবেশ ভাল থাকে। এভাবে কিছু নিয়ম মেনে বাঁধাকপি চাষ করলে বাম্পার ফলন নিশ্চিত।
পিয়া গুপ্তা