একটি নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যাক্সি ইনফিনিটি এবং অ্যাক্সি ডিএও-র নির্মাতা স্কাই মাভিস দ্বারা পরিচালিত কম্পিউটারগুলি নোড নামে পরিচিত। এটা একটা সেতুর মতো কাজ করে। যেখানে নির্মিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে টোকেন বিনিময় করতে দেয়। পাশাপাশি সেই টোকেনের বদলে ডলারে রূপান্তরের অনুমতিও দেওয়া হয়। হ্যাকাররা এখানেই আক্রমণ করে। ১৭৩,৬০০ ইথার এবং ২৫.৫ মিলিয়ন ইউএসডিএস টোকেন লুঠ হয়েছে। হ্যাকিংয়ের ঘটনাটি ২৩ মার্চ ঘটলেও তা গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ধরা পড়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ১১ ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ, দেখুন কত টাকা আদায় করল কেন্দ্র!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলা প্রমাণ করল, ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। অনেক কম্পিউটার কোড নিয়মিত অডিট করা হয় না। সেই ফাঁক কাজে লাগায় হ্যাকাররা। এর আগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড়সড় হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এর পিছনে কে বা কারা থাকে তা কখনও সামনে আসেনি। আবার লেনদেনের নির্দেশ যারা দেয় সেই ভ্যালিডেটরদের পরিচয়ও রহস্যে মোড়া। ক্রিপ্টোর দুনিয়ায় হাজার হাজার ব্রিজ রয়েছে, যেখানে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোর লেনদেন চলে।
২৩ মার্চ হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। অথচ তা নজরে এসেছে ২৯ মার্চ, অর্থাৎ ৬ দিন পর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ক্রিপ্টোর দুনিয়ায় প্রাথমিক সনাক্তকরণ ব্যবস্থা থাকা কতটা দরকার। সিকিউরিটাইজ ক্যাপিটালের সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান উইলফ্রেড ডে-র কথায়, ‘ঘটনার পর ৬ দিন কেটে গেলেও কেউ লক্ষ্যই করেনি। তাহলেও বোঝা যায় কতটা ঢিলেঢালা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে কাজ চলছে। নজরদারির জন্য অন্তত কাউকে রাখা উচিত। যে এমন ঘটনা ঘটলে রিপোর্ট করবে’।
হ্যাকিংয়ের ঘটনা সামনে আসার পর রনিন ব্লকচেনে ব্যবহৃত টোকেন রনের দাম প্রায় ২২ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। কয়েন মার্কেট ক্যাপের তথ্য অনুযায়ী, এএক্সএস, অ্যাক্সি ইনফিনিটি ব্যবহৃত টোকেনের দাম কমেছে প্রায় ৮.৫ শতাংশ। তবে চুরি যাওয়া বিপুল মূল্যের ক্রিপ্টো খুঁজে বের করতে ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ এবং ব্লকচেন ট্রেসার চেইন্যালাসিস একযোগে কাজ করছে।