বাচ্চা হোক কিংবা বড়, পুতুল সকলের কাছে খুব পছন্দের। তাও যদি হয় নিত্যনতুন ডিজাইনের তবে তো আর কথাই নেই। পুতুল বানিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার দিশা দেখাচ্ছে এক স্নাতকোত্তর পাশ ছাত্রী। অন্যান্য কাজের অবসরে বাড়িতেই পুতুল, বিভিন্ন ধরনের সৌখিন ব্যাগ, মোবাইল হোল্ডার, জুয়েলারি সহ একাধিক জিনিস বানিয়ে নিজে স্বনির্ভর হচ্ছে সে। গ্রাহকদের চাহিদা মত বানিয়েও দিচ্ছে পুতুলগুলো। সৌখিন হাতে বানানো এই সকল জিনিস বিক্রি হচ্ছে অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে। মাসিক বেশ ভাল আয় উপার্জনের দিশা দেখাচ্ছে কলেজ পাশ ছাত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতে তৈরি এই জুয়েলারি বিক্রি করে মাসে আয় হচ্ছে ভাল অঙ্কের টাকা !
প্রথাকথিতভাবে সাধারণ জিনিস নয়, হাতের নানান জিনিস বানিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন বহু মানুষ। জুয়েলারি কিংবা অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি বিশেষ এক সুতো দিয়ে মহিলাদের ব্যবহৃত ব্যাগ, এমনকি সুন্দর সুন্দর পছন্দসই পুতুল বানাচ্ছে স্নাতকোত্তরএই ছাত্রী। গ্রাহকদের পছন্দমত কাস্টমাইজ করে দিচ্ছে বিভিন্ন জিনিস। প্রতিটি জিনিসের দামও রয়েছে সাধ্যের মধ্যে। বিভিন্ন অক্সিডাইজ জুয়েলারির পাশাপাশি তার কাছে রয়েছে বিভিন্ন হ্যান্ডমেড জুয়েলারি। রয়েছে উলের তৈরি বিভিন্ন জিনিসও। ফলের ঝুড়ি ঢাকানোর চাদর থেকে দেওয়ালের ঝোলানোর মতসৌখিন জিনিস কিংবা বিভিন্ন ধরনের ডেকোরেশন আইটেম রয়েছে তার কাছে।
আরও পড়ুন: দাম বৃদ্ধি এই তো সবে শুরু, সোনার দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে ? দেখে নিন এক ঝলকে
সেই অর্থে নেই প্রথাগত কোনও তালিম। বিভিন্ন ভিডিও দেখে এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই নিজে ইচ্ছেতেই শিখেছে এইসব হাতের কাজ বানানো। মূলত ২০২০ সাল থেকে কলেজে ওঠার পর পড়াশোনার অবসরে চালিয়েছে এই কাজ। বিভিন্ন সময়ে তার হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিস, পুতুল বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বামুনবিরুয়া এলাকার বাসিন্দা সায়নী জানা। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় থেকেও সে তৈরি করছে বিভিন্ন সৃজনশীল ঘর সাজানোর জিনিস।শুধু তাই নয় বর্তমানেও গ্রাহকদের পছন্দমত পুতুল, ব্যাগ সহ একাধিক জিনিস বানিয়ে দিচ্ছে সে। টিস্যু ব্যাগ কেটে, পাতলা স্পঞ্জ ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিজাইনের ফুটিয়ে তুলছে পুতুলগুলো।
রঞ্জন চন্দ