কারণ যাই হোক না কেন, বর্তমানে ৬টি এয়ারব্যাগ নিয়ম কার্যকর না হওয়ার কারণে, অটো সংস্থাগুলি থেকে সাধারণ মানুষের বেশ কিছু সুবিধা হল। হঠাৎ করে এই নিয়ম কার্যকর হলে অটো মার্কেটের অবস্থার অবনতি ঘটত। বোঝা বাড়ত সাধারণ মানুষের উপরেও। বিপুল সংখ্যক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং বহু মানুষের কর্মসংস্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারত।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ম লাগু হওয়ার নির্দেশিকা জারির পরেই গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। তাদের দাবি, এতে অতিরিক্ত খরচ বাড়বে। যার দায় বইতে হবে ক্রেতাকে। প্রসঙ্গত, সরকারের জারি করা খসড়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ অক্টোবর থেকে এম ১ ক্যাটাগরির যানবাহনগুলিতে দুই পাশে এবং যাত্রীর সামনে এয়ারব্যাগ লাগাতে হবে। সামনের সারির আউটবোর্ডে বসার অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের জন্য একটি করে এবং দুই পাশের পর্দা বা টিউব এয়ারব্যাগ, আউটবোর্ডে বসার অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের জন্য একটি করে লাগাতে হবে।
advertisement
মডেল পরিবর্তন করতে হত: ৬ এয়ারব্যাগের নিয়ম লাগু হলে অটো কোম্পানিগুলোকে তাদের গাড়ির ডিজাইন পুরো বদলে ফেলতে হত। এতে বিপুল ব্যয় তো হতই, একসঙ্গে এই পরিবর্তনের জন্য পরিকাঠামো রয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও উঠছিল। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলি বাজেট মডেলগুলিও বন্ধ করে দিতে পারে। যার কারণে বাজার থেকে এমন যানবাহন বিলুপ্ত হতে পারত যা সাধারণ মানুষের সহজলভ্য ছিল।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Prices: তেলের দামে বিরাট বদল, দেখে নিন আপনার শহরে আজ কত টাকায় মিলছে পেট্রোল ও ডিজেল
ক্ষতিগ্রস্ত হতেন শ্রমিকরা: যানবাহনের উৎপাদন কমানো বা বন্ধ করা হলে অটো শিল্পের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হত। হয় তাঁদের চাকরি যেত, নয় তো অন্য ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হত।
বিদেশের বাজারে: একসঙ্গে এতগুলো এয়ারব্যাগের চাহিদা মেটানো শুধু দেশীয় বাজারের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে গাড়ি কোম্পানিগুলোকে বিদেশি নির্মাতাদের দ্বারস্থ হতে হত। মোটা টাকার চুক্তি করতে হত। এই আঘাত এসে পড়ত শ্রমিকদের উপর। গাড়ির দামও নিঃসন্দেহে বাড়ত। সেই চাপ সামলাতে হত ক্রেতাদের।