পুরনো গাড়ি বিক্রি মানে, মালিকানা হস্তান্তর। নিয়ম মেনে গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পূর্ণ করতে হয়। না হলে মালিকানার অসম্পূর্ণ হস্তান্তর থেকে উদ্ভূত আইনি জটিলতা সহ ভবিষ্যতে একাধিক ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। গাড়ি বিক্রির সময় তাই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাথায় রাখতেই হবে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।
ডকুমেন্টেশন: গাড়ি বিক্রির সময় ডকুমেন্টেশন হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথির মধ্যে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (আরসি), বৈধ বিমা পলিসি, দূষণ নিয়ন্ত্রণ শংসাপত্র এবং ব্যাঙ্ক থেকে অনাপত্তি শংসাপত্র যদি ঋণে গাড়ি কেনা হয়ে থাকে। গাড়ি বিক্রির সময় মালিকানা হস্তান্তরই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। মোটরযান আইন ১৯৮৮ অনুসারে, ক্রেতার নামে আরসি স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত বিক্রেতা গাড়ির মালিক থাকবেন। বিক্রির পর স্থানীয় পরিবহন অফিসে আরসি স্থানান্তরের জন্যে আবেদন করতে হবে। ফর্ম ২৯ ও ৩০ পূরণ করে বৈধ ঠিকানার প্রমাণ সহ অন্যান্য নথি জমা দিতে হবে।
advertisement
গাড়ি সার্ভিসিং: কেনার আগে ক্রেতা টেস্ট ড্রাইভ করতে পারেন। কোনও রকম যান্ত্রিক ত্রুটি থাকলে কেনার সিদ্ধান্ত তৎক্ষণাৎ বাতিল। তাই ক্রেতার কাছে হাজির করানোর আগে গাড়ি সার্ভিসিং করে নেওয়া জরুরি।
গাড়ির মূল্য: ক্রেতার সঙ্গে দর কষাকষির আগে গাড়ির মূল্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা উচিত। এর জন্যে গবেষণা প্রয়োজন। গাড়ির দাম কত হতে পারে, তা ঠিক করতে গাড়ি ব্যবসায়ী বা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সাহায্য নেওয়া যায়। মডেলের বয়স, কত কিমি চলেছে, জ্বালানির ধরন (পেট্রোল/ডিজেল/সিএনজি), ট্রান্সমিশনের ধরন (ম্যানুয়াল/স্বয়ংক্রিয়) এবং দুর্ঘটনার ইতিহাসও বিবেচনায় আনতে হবে।
দেখতে কেমন: হিন্দিতে একটি প্রবাদ আছে, ‘পহেলে দর্শনধারী পিছে গুণবিচারি’। পুরনো গাড়ি বিক্রির সময়েও এই কথাটা খাটে। গাড়ি যতই ছোট হোক না কেন তাতে কোনও ডেন্ট বা স্ক্র্যাচ থাকলে সারিয়ে ফেলতে হবে।
ছবি: অনলাইনে গাড়ি বিক্রি করতে চাইলে ভাল ছবি তুলতেই হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ভিজ্যুয়াল পেলে ক্রেতারা সহজেই আকৃষ্ট হন।