তেল এবং রক্ষণাবেক্ষণে ছাড় -
গাড়ির লোনে শুধু সুদেই নয়, বছরের খরচ করা তেল এবং রক্ষণাবেক্ষণে হওয়া খরচও ট্যাক্স ছাড়ের ক্ষেত্রে যুক্ত করা যেতে পারে। এছাড়া গাড়ি ক্রয় করার মূল্যে প্রতি বছর আসা ডেপ্রিসিয়েশন কস্টের ওপরেও ছাড় পাওয়া সম্ভব। এই ধরনের খরচ ট্যাক্স ছাড়ের ক্ষেত্রে যুক্ত করা যেতে পারে। নিশ্চিত ভাবে এই ছাড় পাওয়া সম্ভব। বছরে প্রায় গাড়ির মূল্যের প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ডেপ্রিসিয়েশন কস্ট হয়ে থাকে। এর ফলে এই ক্ষেত্রে ছাড় নেওয়া সম্ভব।
advertisement
আরও পড়ুন: অস্টিওপোরোসিস! বয়সের সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় কাদের বেশি? কী হয় জানেন?
সহজ হিসাব -
ধরা যাক কারও প্রতি বছরে আয় ১০ লাখ টাকা। ব্যাঙ্ক প্রতি বছর গাড়ির লোনের জন্য ৭০,০০০ টাকার সুদ নেয়। এক্ষেত্রে আয়কর হিসাবে ৯.৩০ লাখ টাকা ধার্য হবে। এই ক্ষেত্রে ডেপ্রিসিয়েশন কস্ট আয়করে যুক্ত করা হবে না।
এই নিয়মগুলো মেনে চলা প্রয়োজন -
- যদি সেই গাড়ি ব্যবসার কাজে না ব্যবহার হয় তাহলে আয়কর দফতর সেই আবেদন খারিজ করে দিতে পারে।
- আবেদন করার জন্য ব্যাঙ্কের কাগজের প্রয়োজন। ব্যাঙ্কের সুদের পরিমাণ সহ সেই কাগজ আয়কর দফতরে জমা করতে হবে।
- গাড়ি যে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তার মালিকের নামেই গাড়ি রেজিস্টার করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সামনেই দোল, বসন্তের সাজ কেমন হবে? জানুন লেটেস্ট ট্রেন্ড-টিপস
আবেদন করার সময় সতর্ক হওয়া প্রয়োজন যে বিষয়ে -
ট্যাক্স এবং বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ বলবন্ত জৈন জানিয়েছেন যে, আয়করদাতাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে আবেদন করার সময় আয়কর দফতর গাড়ি যে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তার কাগজপত্র দেখতে চাইতে পারে। যদি কেউ ভুল তথ্য জমা দেয় তাহলে শুধু তার আবেদনই খারিজ হবে না, আয়কর বিভাগ তার বিরুদ্ধে মামলাও করতে পারে। এর ফলে আবেদন করার সময় সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন। আয়কর রিটার্ন জমা করার সময় আয়করদাতাদের সতর্ক হয়ে সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়া প্রয়োজন।