সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, গাড়ির ধোঁয়া থেকে দূষণ কমাতে হবে। তাই গাড়িতে ব্যবহার করতে হবে আধুনিক প্রযুক্তি। আর তা পাওয়া যাবে ভারত স্টেজ -৬ বা বিএস ৬ গাড়িতে। ১ এপ্রিল থেকে বিএস ৪ ইঞ্জিনের গাড়ি উৎপাদন বা বিক্রি কোনওটাই করা যাবে না। যারা নতুন গাড়ি কিনতে চান তাদের জন্য এবার সচেতন করার কাজ শুরু করল পরিবহন দফতর।
advertisement
মহানগরের দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে গাড়ির ধোঁয়া। ইতিমধ্যেই খড়্গপুর আইআইটি-র অধ্যাপক ভার্গব মৈত্র্য দূষণ নিয়ে তাঁর রিপোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন। সেখানেও উঠে এসেছে এই চার আর ছয়ের লড়াই। কঠিন সময়ে তাই ছয় মারতেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ভাবছেন দূষণের সাথে ম্যাচ, বা চার-ছয়ের কি সম্পর্ক তাই তো ?
গাড়ির ধোঁয়া থেকে বায়ুদূষণ মাপা হয় যে ব্যবস্থার মাধ্যমে তাকে বলা হয় ভারত স্টেজ। গোটা দেশ জুড়েই বায়ু দূষণ রুখতে কঠিন করা হচ্ছে ভারত স্টেজ। দূষণ বাগে আনতে নতুন নিয়মে গাড়ি থেকে নির্গত ধূলিকণার ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের মাত্রা আরও পরীক্ষা করা হবে। যাতে কোনও ভাবেই গাড়ির ধোঁয়া থেকে বিষ বাতাস না বেরোতে পারে। দেশ জুড়েই বিগত কয়েক মাস ধরেই গাড়ি শিল্পে মন্দা চলছে। বিশেষজ্ঞদের মতে অর্থনৈতিক কারণের পাশাপাশি পরিবেশ একটা বড় কারণ। যেখানে ক্রেতারা গাড়ি নেওয়ার আগে তার পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত মাপকাঠি ভালো করে খতিয়ে দেখে নিচ্ছেন।
নতুন বছরের এপ্রিল মাস থেকেই বাজারে নামবে বিএস ৬ বা ভারত স্টেজ ৬ সিরিজের গাড়ি। যে গাড়িতে দূষণ রোখার জন্য আধুনিক দূষণরোধী টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলো আর বাজারে ভারতস্টেজ ৪ গাড়ি আনছে না। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে রাস্তায় নতুন বিএস ৪ থাকবে না। ফলে পিছিয়ে যাওয়া ম্যাচে মানে গাড়ি শিল্পের মন্দা কাটাতে ব্যবহার করতেই হবে বিএস ৬ মডেলের গাড়ি। এই চার আর ছয়ের লড়াইয়ের রেশ এসে পড়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতরেও। গত কয়েক মাস ধরে শহরের আরটিও গুলিতে গাড়ির রেজিস্টেশন অনেক কমে গিয়েছে। বছরের শেষে বা নতুন বছরের শুরুতে অনেকেই নতুন গাড়ি কেনেন। এবার অবশ্য সেই ছবির অন্যথা হয়েছে। ফলে পরিবহণ দফতরের কর্তাদের ব্ক্তব্য শুধু অর্থনীতি নয় ক্রেতারা সচেতন হয়েছেন পরিবেশ নিয়েও। তাই নতুন বছরে ম্যাচ ঘোরাতে চার নয়, ছক্কা দরকার।
Abir Ghoshal