কনফেডারেশনের মতে এই পরিস্থিতি দুর্ভাগ্যজনক। বেশির ভাগ সরকারি কর্তৃপক্ষই আইনানুগ ভাবে এই আগ্রাসন আটকাতে নীতি নির্ধারণ করতে অক্ষম হয়েছে। সিএআইটির স্পষ্ট মত, আমাজন বা ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থাগুলি যেভাবে বিরাট ছাড় দেয়, বা এক্সক্লুসিভ ভাবে পণ্য বিক্রি করে, নানা রকম দাম ধার্য করে, তা আদৌ বিদেশি বিনিয়োগ নীতি অনুযায়ী বৈধ নয়। প্রসঙ্গত এই তত্ত্ব উড়িয়ে ফ্লিপকার্ট-আমাজন সব সময়েই দাবি করে এসেছে, বিদেশি বিনিয়োগ নীতির সব দিক মেনেই কাজ করে তাদের সংস্থা।
advertisement
গত বছরই মোদি সরকার বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে এ দেশে এসেছে এমন ই কমার্স সংস্থাগুলিকে বলেছিল সব নিয়ম মানা হচ্ছে এই মর্মে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে। ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ নোটিফিকেশান জারি করে অর্থ মন্ত্রক বলে প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগের অর্থবর্ষের হিসেব দাখিল করতে হবে।
পাশাপাশি Consumer Protection (e-commerce) Rules, 2019,-এ স্পষ্ট বলা হয়েছে কোনও ই কমার্স সংস্থা সরাসরি এমন ভাবে দাম বৃদ্ধি বা কমানোর কথা ঘোষণা করতে পাবে না যাতে সরাসরি ভাবে ক্রেতার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হয়ে বা একমুখী হয়। পাশাপাশি কোনও ভ্রান্ত রিভিউ রাখা যাবে না জানিয়ে দেওযা হয়। বলা হয় স্বচ্ছ ভাষায় মাল ফেরত, বদলানোর নীতিমালা জানাতে হবে।
কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বলছে বড় সংস্থগুলি অবলীলায় এই নীতিমালাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।