তাদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে সরকারি অনুমোদনহীন লটারির টিকিট। মেমারি থানার অন্তর্গত চকদিঘি মোড় ও বামুনপাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৬ হাজার ২০০ টি বেআইনি লটারির টিকিট।
advertisement
লটারি কেটে সাফল্য পেতে হলে কোন কোন অঙ্কগুলি মাথায় রাখতে হবে তা তুলে বিগত বেশ কিছুদিনের লটারির যে রেজাল্টগুলি আপনার কাছে রয়েছে সেগুলিকে আরও একবার ভালোভাবে যাচাই করুন। সাধারণত লটারির টিকিটে ১-৪ এবং ৫-৯ এভাবে সংখ্যা দেওয়া থাকে। দেখে নিন যে ১ থেকে ৪ নম্বর সংখ্যার টিকিট বেশি খেলা হয়েছে নাকি ৫ থেকে ৯ নম্বর সংখ্যার। যে টিকিটের খেলা বেশি হয়েছে সেই টিকিট বাদ দিয়ে অন্য টিকিটগুলি ক্রয় করুন।
ধৃত সত্যজিৎ দাস-এর বাড়ি মেমারির বিনয়পল্লীতে এবং পরিতোষ বিশ্বাস-এর বাড়ি মেমারীর বিষ্ণুপুরে ও রাজু ঘোষের বাড়ি মেমারির দিলালপুরে। জেলা দুর্নীতি দমন শাখা সূত্রে জানা গেছে,বাজারে যে লটারির টিকিটগুলো বিক্রি করা হচ্ছিলো সেই কোম্পানিগুলির টিকিট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিক্রির কোনও অনুমোদন নেই। সরকার এই টিকিট বিক্রির ওপর কোনও ট্যাক্স পায় না।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে মেমারির চকদিঘি মোড় ও বামুনপাড়া মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশিতে তাদের কাছ থেকে ১৬২০০ টি বেআইনি লটারি টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়।
দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের মতে, এই লটারির টিকিটগুলি কোনও সরকারি অনুমোদিত সংস্থার নয় এবং এগুলি পশ্চিমবঙ্গে বিক্রির জন্য অনুমতি পায়নি। এর ফলে সরকার এই বিক্রি থেকে কোনো রাজস্ব পায়নি। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে এই টিকিটগুলি বিক্রি করে আসছিল অভিযুক্তরা, যার ফলে রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় এবং এই তিনজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চায়, এই বেআইনি লটারির যোগান কারা দিচ্ছে, এবং আর কোথায় কোথায় এই টিকিট সরবরাহ করা হচ্ছিল। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করতে আগামী দিনে আরও তৎপর হবে পুলিশ।