চাষে লাভ দেখে অনেক তরুণই রয়েছেন, যারা চাকরির চেয়ে এখন ব্যবসার দিকে ঝুঁকে ৷ খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করেই কম সময়ের মধ্যে ভালো আয় করতে পারছেন তারা ৷
চাষাবাদের কাজে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল রেশম কীট পালন ৷ কাঁচা রেশম বানানোকে রেশম উৎপাদন (Sericulture) বা রেশম কীট পালন বলা হয়ে থাকে ৷
advertisement
রেশম কীট উৎপাদনে চিনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত ৷ এ দেশে সব ধরনের রেশম উৎপাদন হয় ৷ ভারতে ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ আলাদা আলাদা ধরনের রেশম কীট পালনের সঙ্গে যুক্ত ৷ বহরমপুরে কেন্দ্রীয় রেশম রিসার্চ সেন্টার ১৯৪৩ সালে তৈরি হয় ৷ এরপর রেশম শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৯৪৯ সালে রেশম বোর্ডও স্থাপিত হয় ৷
ভারত সরকার রেশম কীট পালনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা এবং আর্থিক সাহায্য করে থাকে ৷ এ ছাড়া রেশম কীট পালনের সঙ্গে যুক্ত সরঞ্জাম, রেশম কীটের ডিম, সিল্ক বাজারজাত করতেও সাহায্য প্রদাণ করে থাকে ৷
ভারতে রেশমের চাষ তিন ধরণের করা হয়ে থাকে ৷ সবচেয়ে ভালো রেশম অর্জুন গাছের পাতায় কীটের লার্ভা থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে ৷ এছাড়া মরাস অ্যালবা (Morus alba) গাছের পাতা খেয়ে কীট যে রেশম তৈরি করে তাকে মালবরি রেশম বা সিল্ক বলা হয়ে থাকে ৷
কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাডু, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পশ্চিমবঙ্গে সিল্কের উৎপাদন ভালো হয় ৷ এ ছাড়া ঝাড়খণ্ড, ছত্তিসগড়, উত্তর প্রদেশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও সিল্কের উৎপাদন হয়ে থাকে ৷
রেশম কীট পালন সংক্রান্ত বিষয় আরও জানতে ভারত সরকারের এই ওয়েবসাইট লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন - https://www.india.gov.in/hi/topics/agriculture/sericulture ৷ রেশম পালনে কেরিয়ার গড়ার জন্য দেশে অনেক কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এতে ডিগ্রি-ডিপ্লোমা প্রদান করে থাকে ৷ সেরিকালচার নিয়ে পড়াশোনার জন্য তাই ভাবতেই পারেন ৷