এই মুরগির চাষের ক্ষেত্রে মোটা লাভও রয়েছে। কড়কনাথ মুরগির মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তাই এই মুরগির গ্রাহকসংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দেশে। এই কড়কনাথ মুরগির তাই চাষ করলে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারেন।ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুরে করকনাথ মুরগির ফার্ম করে আয় করছেন এক যুবক অচিন্ত্য পাইন। প্রায় পাঁচ বছর আগে কড়কনাথ মুরগির ফার্ম করেন তিনি। প্রথমে তিনি ভিন রাজ্য থেকে ওই মুরগির বাচ্চা কিনে আনেন। বাচ্চাগুলি সঠিক পদ্ধতিতে লালনপালন করে বড় করে তোলেন। সেই মুরগিগুলি প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের ডিম থেকে ফের ইনকিউবেটরে বাচ্চা ফুটিয়ে মুরগির সংখ্যা বাড়াতে থাকেন। অতিরিক্ত উৎপাদন করে কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি মুরগি ও ডিম বাজারজাত করতে শুরু করেন। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে তাঁর দাবি।
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের ওই যুবক তাঁর ফার্ম থেকে সরাসরি বিক্রি করছেন এই মুরগির ডিম ও মাংস বিক্রি করছেন। গোটা মুরগি পাইকারি ও খুচরো ৬০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করেন। ওই মুরগির ডিম বিক্রি করেন প্রতি পিস ২০ টাকা করে। খুচরো বাজারে ওই মুরগির কাটা মাংসের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৮০০ টাকা। পাশাপাশি বাজারে ডিমের দাম জোড়া ৫০ টাকা। তবে মুরগি ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় তাঁর ফার্ম থেকেই সব বিক্রি হয়ে যায়। কড়কনাথ মুরগি ও ডিম বাজারজাত করতে তাঁকে বাজারের মাংসের দোকানগুলিতে ছুটতে হয় না। মাংস বিক্রেতারা নিজেরাই ফার্ম থেকে নিয়ে যান আজও৷
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ওই যুবকের দাবি, বাজারে এই মুরগির মাংসের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ কড়কনাথ চাষ করতে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। তাই বাজারের চাহিদা মেটাতে আগামীদিনে তিনি তাঁর ফার্ম হাউস আরও বড় আকারে করতে চলেছেন৷ এই মুরগিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রচুর আয়রণ আছে বলে মত দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরাও। সাধারণ মুরগির চেয়ে এই কাল মুরগির মাংসে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেক কম। এই মুরগির মাংসে ১.৯৪ শতাংশ ফ্যাট রয়েছে, যা অন্য প্রজাতির মুরগির মাংসের তুলনায় অনেকটাই কম।





