গরুমারার সবুজ অরণ্যের ছায়ায়, ধুপঝোড়া এলাকার বনবস্তির মহিলারা আজ নিজেদের পরিশ্রমে গড়ে তুলছেন আত্মনির্ভরতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একসময় পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তাঁদের হাতে তৈরি পাটের সামগ্রী যেমন-মাদুর, ব্যাগ, টেবিল ম্যাট, ফুলদানি কিংবা সাজসজ্জার নানা উপকরণ। কিন্তু পর্যটন প্যাকেজে এই সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় বিক্রির জোয়ার কিছুটা থেমে গিয়েছিল। তবুও হাল ছাড়েননি তাঁরা। নতুন করে পথ খুঁজে নিয়েছেন এই অরণ্যসংলগ্ন প্রায় ৪৫ জন মহিলা।
advertisement
আরও পড়ুন: ওভারটেক করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! প্রাণ গেল মালদহের যুবকের
প্রতিদিনই কেউ না কেউ পাটের সুতোর গিঁটে গাঁথছেন জীবিকার নতুন স্বপ্ন। জলপাইগুড়ির ওই এলাকার স্থানীয় এক মহিলার কথায়, “এই কাজই এখন সংসারের ভরসা। সকালে বনে যাই জ্বালানি সংগ্রহে, বিকেলে বসি পাটের কাজ নিয়ে। এই হাতে রোজগার, এই হাতেই সম্মান।” এই পাটের কাজ এখন শুধুমাত্র জীবিকার সঙ্গে তাদের এক ঐতিহ্য রক্ষার লড়াইও বটে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁদের প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, “আমরা শুধু সামগ্রী বানাচ্ছি না, বাঁচিয়ে রাখছি গ্রামীণ সংস্কৃতির এক পুরনো উত্তরাধিকার। পাটের কাজ আমাদের আত্মনির্ভরতার প্রতীক।” সবচেয়ে আশার কথা, এখন এই মহিলারা শুরু করেছেন হোম ডেলিভারি পরিষেবা। ক্রেতারা ফোনে অর্ডার দিলেই তাঁদের তৈরি পাটের সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। ফোন করতে হবে শুধু 6295823892 এই নম্বরে! এই নতুন উদ্যোগে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন ধুপঝোড়ার মহিলারা। সবুজ জঙ্গলের পাশে, প্রকৃতির বুক থেকে উঠে আসা এই নারীদের গল্প তাই শুধু জীবিকার নয় এ এক লড়াই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর, এক হাতের তৈরি আশার গল্প!





