শীতের সময় গাজর, বিট, ফুলকপি, সিম-সহ একাধিক সবজি বাজারে পাওয়া যায়। অন্যান্য সবজির দাম নাগালের মধ্যে থাকলেও সিমের দাম বরাবরই ঊর্ধ্বমুখী থাকে বাজারে। স্বাভাবিকভাবে ধান চাষ না করে বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গাতে সিমের চাষ করে মালামাল হচ্ছে এই কৃষক। প্রায় ছয় বছর ধরে প্রতি মরশুমে চাষ করছেন সিমের। তার এই জায়গাতে মাত্র কয়েক হাজার টাকা খরচ করে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণের বড়কলা এলাকার বাসিন্দা অশ্বিনী ঘোষ প্রায় ৫০ ডেসিমেল জায়গাতে লাগিয়েছেন সিম। এক মরশুমে ওষুধ ও অন্যান্য খরচ বাবদ তার মোট খরচ ৫০ হাজার টাকা।
advertisement
জানা গিয়েছে, ভাদ্র মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সিমের চারা লাগানো হয়। চারা গাছ লাগানোর প্রায় আড়াই মাসের পর থেকে ফলন দেওয়া শুরু হয়। প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস পর্যন্ত ফলন মিলে। কৃষক জানাচ্ছে, ছ’ফুট অন্তর প্রতিটি বীজ পুঁতে দেওয়ার পর গাছ হলে মাচা তৈরি করে দিতে হয়। এরপর ওষুধ বা অন্যান্য পরিচর্যায় গাছগুলি প্রায় চৈত্র মাস পর্যন্ত ফলন দেয়। ৫০ ডেসিমেলে তার খরচ ৫০ হাজার টাকা হলেও গত বছর তার মোট আয় হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।
তবে চলতি মরশুমে দাম সামান্য কম থাকায় খুব একটা তারতম্য হবে না বলেই মনে করছেন এই কৃষক। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন খড়গপুর বাজারে। প্রসঙ্গত অন্যান্য শীতকালীন সবজি অথবা ধান চাষ করে যে লাভ না পাওয়া যায় মাত্র ৬ মাসে তার তিন থেকে চারগুণ লাভ মেলে সিমের চাষ করে। স্বাভাবিকভাবে প্রান্তিক এলাকায় থেকেও নতুন এই চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন এই কৃষক।
রঞ্জন চন্দ