মুজাফফরপুরের সাকরা ব্লকের মাচাহি গ্রামের বাসিন্দা অনিল কুমার কৃষিক্ষেত্রে এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করে গ্রামে ফিরে আসা অনিল কৃষিকাজ এবং সমাজসেবামূলক কাজে কাজ শুরু করেন। প্রথমে তিনি ২০২১ সালে পঞ্চায়েত রাজ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৫৩ নম্বর এলাকা সাকরা থেকে জেলা পরিষদের সদস্য হন, পরে ২০২৩ সালে তিনি তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা কুমারীর সঙ্গে পুসা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের এক সিদ্ধান্তেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের! এরপরই সীমান্তে যা ঘটছে, এ দৃশ্য অকল্পনীয়
অনিল বলেন যে, যখন তিনি গ্রামে একটি নেমন্তন্ন বাড়ি গিয়েছিলেন, তখন তিনি মাশরুমের তরকারি খেয়েছিলেন এবং এটি তাঁর খুব পছন্দ হয়েছিল। বাজারে যখন তিনি এটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন জানতে পারেন যে এটি খুব চড়া দামে বিক্রি হয়। তারপর থেকেই কেবল এক চিন্তা- তিনি ভাবতেন কেন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে কৃষিকাজকে একত্রিত করা যাবে না! তারপর তিনি এই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেন, পরের ধাপে পুসা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে এর জন্য প্রশিক্ষণ নেন এবং প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি কুঁড়েঘরে মাশরুম চাষ শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে, তিনি অয়েস্টার মাশরুম চাষ করেছিলেন। কিন্তু, বাজারে বাটন মাশরুমের চাহিদা বেশি এবং সহজে বিক্রি হওয়ার কারণে, তিনি সেই মাশরুম উৎপাদন শুরু করেন।
কৃষিকাজ থেকে ভাল আয় –
ধীরে ধীরে, যখন তিনি আয় করতে শুরু করেন, তখন তিনি বৃহৎ পরিসরে মাশরুম চাষ শুরু করেন। তিনি তাঁর স্ত্রীর নামে সরকারি ঋণ নিয়ে মাসে ১০ টন ধারণক্ষমতার একটি বড় শেড নির্মাণ করেন। এখন প্রতি মাসে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা আয়। এখান থেকে উৎপাদিত মাশরুম বিহারের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। এই শেডটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। অনিলের কাছ থেকে অনেকেই মাশরুম চাষ সম্পর্কে জানতে এবং শিখতে শুরু করে। অনিল বলেন, অল্প জায়গায় মাশরুম চাষ করা যায়। এর ফলে ভাল আয় হয়। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি এবং আধুনিকতার এই যুগে, মানুষ কৃষিকাজে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারে।