তেলেঙ্গানার করিমনগর জেলার জম্মিকুন্তা মণ্ডলের শ্রীরামুলা গ্রামের শ্রীকান্ত নামের এক যুবক এই কালো ধান চাষ করছেন। ৫ একর জমিতে ফলিয়েছেন ফসল। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেই কালো চাল চাষ হয়। এর বিশেষত্ব হল, ফোটানোর পর এর রঙ বদলে নীল হয়ে যায়। তাই অনেকে একে ‘নীল চাল’-ও বলেন। ১০০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে কালো ধান কাটা হয়। রোগ প্রতিরোধের গুণাগুণ থাকায় এই চালের চাহিদা বেশি।
advertisement
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ: কালো চাল পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস। বিশেষ করে প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। কালো চালের ভাত শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে। ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রনের ভাল উৎস তো বটেই, কালো চালে বেশ কয়েক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হল এক ধরনের যৌগ যা কোষে ফ্রি র্যাডিক্যাল নামে পরিচিত অনুর কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হৃদরোগ, অ্যালজাইমার্স এবং বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসার-সহ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে: কালো চালে অ্যান্থোসায়ানিন থাকে যা এর কালো-বেগুনি রঙের জন্য দায়ী। এটিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ক্যানসার বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: কালো চালে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। এটা হৃদরোগ তৎসংক্রান্ত মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
চোখ ভাল রাখে:
কালো চালে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটিন এবং জেক্সানথিন, যা চোখ ভাল রাখে। চোখকে যে কোনও রোগ থেকে রক্ষা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিয়মিত কালো চালের ভাত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়।