গৌরব কুমার ২০১৪ সালে ‘জয়পুর ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট’ থেকে এমবিএ পাশ করে একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে চাকরি পান। প্রায় ৮ বছর চাকরি করার পর ২০২২ সালে সেই মোটা মাইনের চাকরি ছেড়ে ফিরে আসেন বেগুসরাইতে। স্থানীয় কিছু যুবককে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন দেশীয় ব্যবসা, আখের রসের। তবে দারুন প্যাকেজিং-এ। ‘ওকে ফ্রেশ’ নামে আখের রসের দোকান খুলে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। ধীরে ধীরে এক বছরের মধ্যেই ‘ওকে ফ্রেশ’ একটি ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ফেলেছে।
advertisement
বেগুসরাই জেলার রতনপুরের বাসিন্দা গৌরব কুমার বলেন, ‘আগে বার্ষিক ১৮ লক্ষ টাকার প্যাকেজে দিল্লি, কলকাতার মতো বড় শহরে চাকরি করেছি। আট বছর একটানা নিজের বাড়ি ছেড়ে থেকে রোজগার করেছি। কিন্তু তারপর নিজের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফিরেই তিনি স্থানীয় কয়েকজন তরুণ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে লেগে পড়েন কাজে। খুলে ফেলেন ‘ওকে ফ্রেশ’, বিক্রি শুরু হয় তাজা আখের রসের।
বর্তমানে বেগুসরাই শহরের কালীস্থান চক, চুন্নিনাল মেগা মার্ট-সহ তিনটি জায়গায় এই ব্র্যান্ডের আখের রস বিক্রি হচ্ছে। গোটা ব্যবসা থেকে মোট ১০ জনের কর্মসংস্থান হচ্ছে বলে দাবি করেছেন গৌরব। তিনি জানান, মাসে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টার্নওভার হয়।
নানা স্বাদের আখের রস:
আখের রসকে জনপ্রিয় করতে এতে মেশানো হয়েছে নানা উপাদান। ক্রেতারা কুড়িটিরও বেশি স্বাদে আখের রস পান গৌরবের দোকানে। সহযোগী মুরারি মিশ্র জানান, সবচেয়ে জনপ্রিয় হল চিলি স্পাইস, মিন্ট, ফ্রেশ ফ্রুট, রোজ, লেমন জিঞ্জার প্রভৃতি। ইন্টারনেটে সার্চ করে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনেক স্বাদ চালু করেছেন তাঁরা। আখের রসের পাশাপাশি জলখাবারও পাওয়া যায় এই দোকানে। কম্বো অফারে দেওয়া হয় সেসব। ‘ওকে ফ্রেশ’-এ কর্মরত রোহিত কুমার জানান, তিনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার মতো বেতন পান।