ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড অর্থাৎ ডিপিআইআইটি একটি নোট জারি করে এই খবর জানিয়েছে। এর আগে পরিবর্তনযোগ্য নোটগুলিকে ইস্যুর তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য ইকুইটি শেয়ারে রূপান্তরিত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই সময়সীমা এখন বাড়িয়ে ১০ বছর করা হল।
আরও পড়ুন: ৩১ মার্চ থেকে চেকে আর টাকা দেওয়া যাবে না মিউচুয়াল ফান্ডে, কেন এই সিদ্ধান্ত?
advertisement
সময়সীমা ছাড়া আর কী পরিবর্তন হল? এখন থেকে যে কোনও বিনিয়োগকারী কনভার্টেবল নোটের মাধ্যমে স্টার্ট আপে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন। এটা এক ধরনের বন্ড বা ঋণ পণ্য। এই ধরণের বিনিয়োগের সুবিধা হল, যদি স্টার্ট আপের কার্যকারিতা ভাল হয় বা ভবিষ্যতে যদি কোম্পানি কোনও বড়সড় লক্ষ্য অর্জন করতে পারে তবে বিনিয়োগকারী তাঁর বিনিয়োগের উপর কোম্পানির কাছ থেকে ইকুইটি শেয়ার চাইতে পারেন।
আকর্ষণীয় কেন? স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলিতে ঋণের আকারে প্রাপ্ত তহবিলের পরিবর্তে একটি পরিবর্তনযোগ্য নোট জারি করা হয়। এটাই পরবর্তীকালে স্টার্ট আপ কোম্পানির ইকুইটি শেয়ারে রূপান্তরিত হতে পারে। এখন পরিবর্তনযোগ্য নোট ইস্যুর তারিখ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ইকুইটি শেয়ারে রূপান্তরিত করার নির্দেশিকা জারি হল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে পরিবর্তনযোগ্য নোটগুলি স্টার্ট আপগুলির জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিয়োগ আনার একটি আকর্ষণীয় মাধ্যম হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: এক বছরে ১০০০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে টাটা গ্রুপের এই স্টক, আপনার কাছে আছে?
এর ফলে স্টার্ট আপ কোম্পানিগুলির ওপর থেকে বোঝা কমবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রসঙ্গে ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অংশীদার সুমিত সিংহানিয়া বলছেন, কনভার্টেবল ডিবেঞ্চার বা ডেটস-এর বিপরীতে, কনভার্টেবল নোটগুলি ইকুইটিতে রূপান্তর করার একটি সহজ বিকল্প দেবে। কারণ ভেরিয়েবল রেশিও আগে থেকে সেট করার কোনও প্রয়োজন পড়বে না। তাঁর কথায়, ‘কনভার্টেবল নোটগুলিকে ইকুইটিতে রূপান্তর করার সময়সীমা বাড়িয়ে ১০ বছর করার ফলে স্টার্ট আপ সংস্থাগুলির উপর থেকে বোঝা কমবে’।
আরও পড়ুন: ৩১ মার্চের মধ্যে এই কাজগুলো করতেই হবে, একবার চোখ বুলিয়ে নিন!
বর্তমানে বিশ্বের দরবারে পয়লা নম্বর ‘স্টার্ট আপ গন্তব্য’ হয়ে উঠেছে ভারত। দেখা যাচ্ছে নিত্য নতুন উদ্ভাবনী শক্তি ও বিপণন কৌশল। ভারতীয় স্টার্ট-আপদের টাকা দিচ্ছে দেশি-বিদেশি উদ্যোগ পুঁজি সংস্থা। প্রথম দফার তিন-চার কোটি টাকার পুঁজি ঠিক সময়ে পাওয়া যায়। সমস্যা হয় পরে সংস্থা সম্প্রসারণের সময় ১০-১২ কোটি পেতে। এই ফাঁক ভরাট করতেই স্টার্ট আপ ‘ইকোসিস্টেম’ তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। সে দিকে তাকিয়েই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।