দু’দিনব্যাপী শিল্প সম্মেলনে মোট বিনিয়োগের প্রস্তাব ২.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা ৷ লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই এমন সফল বাণিজ্য সম্মেলন আয়োজনের প্রশংসা শোনা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন বণিকসভার কর্তাদের মুখেও ৷ ভারত চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মার মতে, ‘‘ গত বাণিজ্য সম্মেলনগুলির সাফল্যের নিরিখেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পপতিরা এরাজ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এবছরও শিল্প সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ৷ দেশ-বিদেশের বাণিজ্যের ‘কাপ্তান’-দের বাংলার শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে আকৃষ্ট করা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটা বড় সাফল্য ৷ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা যথেষ্ট বড় হতে চলেছে দেশের রাজনীতিতে ৷ তাই আশা করাই যায় শিল্পপতিদের ব্যবসার কাজে সমস্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে নির্বাচনের পরে নতুন সরকার গঠনের পরে ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ ২.৮৪ লক্ষ কোটি বিনিয়োগের পাশাপাশি রাজ্যে ৮-১০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের আশ্বাসও এই বাণিজ্য সম্মেলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ৷ রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি (বছর প্রতি ১১.৪৬ শতাংশ )-র পরিমাণও যথেষ্ট ভাল ৷’’
advertisement
এবারের শিল্প সম্মেলনে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। এর ফলে রাজ্যে আট থেকে দশ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর । চামড়া শিল্পে কাজ পাবেন আরও অন্তত দু’লক্ষ মানুষ। শিল্প সম্মেলনের মঞ্চে এবছর এখনও পর্যন্ত ৮৬টি মউ স্বাক্ষর হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আগামী দিনে বাংলাই বিনিয়োগকারীদের প্রধান গন্তব্য হবে। সিলিকন ভ্যালির জন্য আরও একশো একর জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই জমিতে ইতিমধ্যেই শিল্পস্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা।
সীতারাম শর্মার মতে, ‘‘ রাজ্যে দেড়শোর বেশি প্রজেক্ট বিনিয়োগযোগ্য ৷ সেখান থেকেই শিল্পের প্রতি রাজ্য সরকারের সঠিক ‘ভিশন’-এর বিষয়টি স্পষ্ট ৷ পাশাপাশি MSME সেক্টর এবং ই-গভার্নেন্স সংস্কারের কাজে ‘বাংলার রফতানি’ অ্যাপটি রাজ্যের রফতানিজাত পণ্যের প্রচার ও তথ্য জানার জন্য যথেষ্ট ভাল ৷ ’’