কী বললেন গৌতম আদানি? তিনি বলেন, ''আমাকে নিমন্ত্রণ করার জন্যে ধন্যবাদ। বাংলা নিয়ে আমি বরাবর আগ্রহী৷ আদানি গ্রুপ আরবসাগরের তীর থেকে ব্যবসা শুরু করেছিল। মহিলা ক্ষমতায়ন বাংলার মতো অন্য রাজ্য কেউ ভাবে না। কন্যাশ্রী যে কারণে এত সফল। তাই ইউনাইটেড নেশনস থেকে পুরষ্কার পেয়েছে৷ সবুজ সাথী ও উৎকর্ষ বাংলায় মানুষ উপকৃত। আপনার পপুলারিটি, ক্যারিশ্মা অবিস্মরণীয়। আমাদের ফোকাস অনেক বড়৷ পরিকাঠামো নিয়ে আমরা আগেই কমিট করেছি। আদানি গ্রুপ ডেটা সেন্টার, আন্ডার সি কেবল, সেন্টার ফর এক্সেলেন্স, লজিস্টিক পার্ক ও ফরচুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছে। ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে আমাদের। ২৫০০০ কর্মসংস্থান হবে।''
advertisement
এখানেই শেষ নয়, গৌতম আদানির বক্তব্য, ''আমি এই প্রথম কলকাতাতে এসে বলছি।বাংলা যতজন মণীষীকে দিয়েছে অন্য কোনও রাজ্যে তা নেই। মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য বাংলা যা করেছে, অন্য কোনও রাজ্য তা ভাবেনি। সামাজিক স্কিম কন্যাশ্রী প্রকল্প পুরস্কার পেয়েছে, উৎকর্ষ বাংলা, সবুজ সাথী প্রকল্প স্বীকৃতি পেয়েছে। আমাদের সব অভিজ্ঞতা বাংলাকে দেব। আমরা টেকনোলজি দেব বাংলাতে। বাংলার আশা আমরা পূরণ করব। আদানি গ্রুপ বাংলাতে ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করবে, ১০০০০ কোটি টাকার এক্সপেনশন করবে।''
আরও পড়ুন: বাংলার বিপুল প্রশংসা শিল্পপতিদের, টাটাদের বড় ঘোষণা! বিরাট বিনিয়োগ সম্ভাবনা
আদানির সংযোজন, ''আমরা বাংলা তে আমাদের সেরা টিম আনব। আদানি গ্রুপ খুব খুশি এখানে আসার জন্য।'' তবে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন টাটা স্টিলের এমডি টি ভি নরেন্দ্রণ। যে সিঙ্গুরকে কেন্দ্র করে টাটাদের সঙ্গে সংঘাতের আবহ ছিল রাজ্য সরকারের, সেখানে টাটাদের মুখ থেকে বিনিয়োগের কথা বিশেষ ইঙ্গিতবাহী। কোন শিল্পপতি কী বললেন, দেখুন...
নিরঞ্জন হিরানান্দানি - রাজ্যে ডেটা সেন্টার রাজ্যে। ১৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ পরিকল্পনা৷ গেইল এর পাইপলাইন প্রজেক্টের কাজ একসাথে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: বাংলার বড় আশা ব্রিটেন, শিল্প সম্মেলনে কেন তুরুপের তাস হতে পারে এই দেশ?
টি ভি নরেন্দ্রণ - টাটা স্টিল দীর্ঘদিন ধরে এখানে বিনিয়োগ করে এসেছে। ৬০০ কোটি বিনিয়োগ হবে খড়গপুরে৷ ইউনিট আরও বাড়বে। এছাড়া টিসিএস ও হোটেলেও বিনিয়োগ হবে৷
সঞ্জীব মেহেতা - পানীয় জল নিয়ে এই রাজ্যে অনেক কাজের সুযোগ আছে। খাদ্য উৎপাদন থেকে হসপিটালিটি, সবেতেই সুযোগ বাড়ছে এই রাজ্যে।
রিশাদ প্রেমজি, উইপ্রো - আমাদের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যের যোগাযোগ আছে। রাজারহাটে আমরা কাজ শুরু করছি আগামী কয়েক মাসে।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা - রাজ্যে শিল্পের পরিবেশ পরিকাঠামো প্রস্তুত। রাজ্যে কোনও সমস্যা নেই। বেঙ্গল মানে এখন ব্যবসা৷ তাই নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করুন।
সজ্জন জিন্দল - পরিকাঠামো ও ভৌগোলিক অবস্থানের জেরে বাংলায় বিনিয়োগ করতে সুবিধা ও আদর্শ পরিবেশ। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার কাজ করতে কোনও কর্মদিবস নষ্ট হয়নি। আগেকার মতো অবস্থা এই রাজ্যে আর নেই। ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমরা গড়ছি।
সঞ্জীব পুরী - অনেক দিন পরে সবার সঙ্গে দেখা হল। বোঝা গেল বাংলা মানে ব্যবসার আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ছে। আইটিসির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে। পাঁচলায় ফুড প্রসেসিং করছি আমরা। কৃষি ও পর্যটন এই দুই ক্ষেত্রেই আমাদের আগ্রহ। বাংলা যে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, তা সাধুবাদ যোগ্য। কলকাতা আমাদের কাছে একটা ঘর। রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ আছে। ৪৫০০ কোটি টাকা গ্রিন ফিল্ড ফেসিলিটিতে আমরা বিনিয়োগ করেছি। ফুড প্রসেসিংয়ে আমরা বিনিয়োগ করছি। বাংলার পর্যটনে অনেক বিনিয়োগের জায়গা আছে।