ক্রমবর্ধমান বিক্রয় এবং মুনাফা: ধারাবাহিকভাবে ক্রমবর্ধমান বিক্রয় এবং মুনাফা হলে সেই কোম্পানি যে লাভজনক সেটা স্পষ্ট। শেয়ার প্রতি ক্রমবর্ধমান আয় (ইপিএস) একটি কোম্পানির সম্পদ বৃদ্ধির চমৎকার সূচক।
কম ঋণ: খুব বেশি ঋণ একটা কোম্পানিকে ডুবিয়ে দিতে পারে। অতএব কোম্পানির ঋণ এবং সংশ্লিষ্ট অনুপাত পরীক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। উচ্চ ডেট-টু-ইক্যুইটি অনুপাত থেকে বোঝা যায় কোনও কোম্পানি বাইরে থেকে তহবিল এনে তার বৃদ্ধির জন্যে টাকা যোগাচ্ছে কি না।
advertisement
প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা: কোম্পানির প্রতিযোগিতার মধ্যে টিকে থাকার ক্ষমতা আছে কি না সেটাও দেখতে হবে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়ার ক্ষমতা দেখার জন্যে ব্যবসার গুণমান একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
ভাল রিটার্ন: একটি কোম্পানির কর্মক্ষমতা এবং ভবিষ্যতে বৃদ্ধির সম্ভাবনা বোঝার জন্যে বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন রিটার্ন অন ইক্যুইটি এবং রিটার্ন অন ক্যাপিটাল এমপ্লয়েড। স্টকটি ভাল পারফর্ম করছে কি না তা বুঝতে হলে পর্যবেক্ষণই একমাত্র পথ।
হাই প্রফিট মার্জিন: মাল্টিব্যাগার স্টকে বিনিয়োগ লাভজনক কি না বোঝার আরেকটি সূচক হল হাই প্রফিট মার্জিন দেখা। কোম্পানি যদি দাম এবং খরচের সমন্বয় করতে পারে তাহলে মুনাফাও বাড়বে।
মাল্টিব্যাগার স্টকে বিনিয়োগের ঝুঁকি: একসঙ্গে অনেক মাল্টিব্যাগার স্টক কেনা হয়। এখন স্টক পড়ে গেলে বিনিয়োগকারীদের লোকসান। কিন্তু ঝুঁকি যত বেশি, লাভও তত, একথাও সমান সত্যি। মাল্টিব্যাগার স্টকে বিনিয়োগের সময় এই লাভের কথাই বিনিয়োগকারীদের মাথায় ঘোরে। বিনিয়োগ একটি সময় পর্যন্ত লক করা হয়। বেশির ভাগ মাল্টিব্যাগার স্টক ফুলে ফেঁপে উঠতে দুই দশকের বেশি সময় নেয়। যার অর্থ আগামী কয়েক বছর কোনওভাবেই সেগুলো বিক্রি করা যাবে না।
অনেকে ট্রিক ট্রেডের ফাঁদেও পড়ে। অর্থাৎ বিনিয়োগ করার কারণে কৃত্রিম মুদ্রাস্ফীতি। এর মধ্যে বেশির ভাগই কম বাজার মূলধন সহ ছোট-ক্যাপ স্টক, যা সহজেই কারসাজি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। প্রথম দিকে এই স্টকগুলোর কিছু সমস্যা থাকে। যেমন যে কোনও গুজবের কারণে দাম পড়তে পারে। সেটাকে আবার পুনরুদ্ধার করতে কয়েক মাস লেগে যায়।